জোনাকির আলো (এক টুকরো রোদ) - ৫

Mofizur Rahman
0

জোনাকির আলো (এক টুকরো রোদ) - ৫

জোনাকির আলো (এক টুকরো রোদ) - ৫

জোনাকির আলো

দীর্ঘ আট বছর দেশে ফিরে এসে মেরিনার বেশ ভালো লাগছে। শেষের কয়েক বছর খুব বোর ফিল করছে সে। দূরপ্রাচ্যের দেশটিতে মনকে আটকে রাখা যেন কঠিন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু একটা দুঃখময় স্মৃতি থেকে সে নিজেকে আড়াল করে রাখতে পেরেিেছল। সে স্মৃতিটা ওর মনটাকে কখনো কখনো কাঁপিয়ে দিতো। বিশেষ করে বর্ষায় অঝোর ধারায় আকাশ ভেঙ্গে যখন বৃষ্টি নামতো তখন তার মনটা ভীষন ভারী হয়ে যেতো। কিন্তু বিয়ের পর পর স্বামীর সাথে প্রবাসী হওয়ার পর স্মৃতিটা তেমন করে হৃদয়ের ভেতর বরফের মত জমাট বাঁধতে পারেনি অবিরাম বর্ষণতো দুঃস্বপ্ন, বৃষ্টির শব্দও তেমন একটা শুনা যায় না মরুভূমির দেশটিতে।

দিনে দিনে মুভিটা যেন তার কাছে পুরানো দিনের স্বপ্নের মত হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আজ যখন ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে চোখ মেলে তাকালো হটাৎ তার চোখ দু'টি স্থির হয়ে গের। শ্রাবনের পাহাড় সমান মেঘ তাকে হারানো স্মৃতির কাছাকাছি নিয়ে গেল। বিশাল মেঘ খন্ডের অবিরাম বর্ষণ তার মনটাকে টুকরো টুকরো করে দিলো। সে ঘরে এসে জানালার পাশে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলো তখন চোখের উপর ভেসে উঠলো জাহিদের অবয়বখানি ।

যুদ্ধের সময় গ্রামে যাওয়ার পথে নৌকাঘাটে জাহিদের সাথে প্রথম পরিচয়। সে অনেকটা যেচে মেরিনাদের নৌকায় উঠে পড়ে। বাবা না চাইলে কিন্তু মার জন্য পারে না। তোমাদের গায়ের ছেলে, এমন দুঃসময়ে এরকম একজন কেউ সাথে থাকা ভালো, বিপদে-আপদে কাজে আসে। চৈত্র মাস শেষ হয়নি তখনো, রোদে মাঠ-ঘাট খা খা করে উঠছে। খালে পানি নেই তেমন, কোথাও হাটুজল কোথাও কোমরজল আবার কোথাও গলা অবধি ডুবানো যায়।

জোয়ারভাটার ছোঁয়া হালদা পর্যন্ত পৌঁছায় না। তবুও নৌকা চলে ধীর গতিতে শীত গ্রীষ্মেও জেগে উঠা বালু চরের আঁকে বাঁকে। বর্ষার সময় পাহাড় থেকে বাঁশ ছন বোঝাই করে বড় বড় নৌকা নেমে আসে উপর থেকে। বন উজাড় করে সারি সারি কাঠের বহর দু'কূল উপচে পড়া স্রোতের সাথে ভেসে আসে। জাহিদ মাঝির কাছে পাটাতনে গিয়ে বসে। নৌকা চলতে শুরু করে। কিছুক্ষন কারো সাথে কোন কথা হয় না । সবাই চুপচাপ বসে থাকে । শহরের শংকিত পরিস্থিতি থেকে গ্রামের শান্তময় খালে ধীরে চলা নৌকায়ও স্বস্তি ফিরে আসে না।

খালের দুধারে ঝোপঝাড় রোদের খরতাপে সতেজতা হারিয়ে ধুলোবালির আবরণে বিবর্ণ হয়ে গড়েছে মেরিনা হাত বাড়িয়ে পানির স্পর্শ নিতে চায় সহজে নাগাল পায় না। পানি এত কমে গেছে যেন নৌকার তলায় গিয়ে লেগেছে। সে একটু সরে একপাশে গিয়ে বসে নৌকা তখন হাঁটু জলের ওপর দিয়ে বৈঠার তালে তালে এগিয়ে চলছে । সে এবার হাত বাড়িয়ে পানি ছুঁয়ে ফেলে। স্পর্শের সাথে সাথে তার ভিতরে শিহরন জাগে।

বারবার পানির স্পর্শ নিতে ইচ্ছা হয় নৌকা মোড় ঘুরতে হাতের পানি ছিটকে মার শাড়িতে গিয়ে পড়ে। মা মেয়ের দিকে তাকাতে মেরিনা পানি থেকে হাত তুলে বুঝাতে চায় ভুল হয়ে গেছে এমন আর হবে না । কিন্তু পরক্ষনেই আবার ভুলে যায় । কিছুদূর যেতে না যেতে পানি ছোঁয়ার ইচ্ছা সামলে রাখতে পারে না। আবারও পানিতে হাত নামিয়ে দেয়। মাঝির বৈঠা থেকে পানি ছিটিয়ে পড়ে হাতটিতে। সে চমকে উঠে তাকিয়ে দেখে ছেলেটির হাতে বৈঠা মাঝি দাঁড়িয়ে লম্বা বাঁশে ভর দিয়ে নৌকা ঘুরাতে চেষ্টা করছে।

ছেলেটি বলে, দুঃখিত, আমি খেয়াল করিনি। মেরিনা কোন জওয়াব দেয় না, হাত পানি থেকে তুলে নেয়, পানির গভীরতা বাড়লে নৌকার গতিও বেড়ে যায় । তখন মনে হয় খালের দুই তীরের গাছ-গাছালি কেমন যেন সরে যাচ্ছে । আশে পাশের কেউ কেউ গলা জলে কেউ আবার কোমর জলে নেমে গোসল করছে। মেয়েরা সারা শরীরে শাড়ি পেঁচিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে পানিতে ডুব মারে। উঠতে শাড়ীর আঁচল মাথায় পেঁচিয়ে হাতের কলসে পানি ভরে।

সোয়ারীর নৌকা কিংবা ব্যাপারীর বাঁশের ভেলা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েরা ঘোমটা টেনে নিজেকে আড়াল করে রাখে। মেরিনার বেশ ভালো লাগে এসব দৃশ্য। খুব ইচ্ছা হয় মেয়েটির মত পানিতে নেমে গোসল করতে, ওপারের কিশোরী মেয়েদের মত পানিতে নেমে সাঁতরাতে। ওদের হাত আর পায়ের ঝাপটায় পানি যেন ঢেউয়ের তালে তালে আছড়ে পড়ছে। হঠাৎ নৌকা বালু চরের সাথে আটকে পড়ে থেমে যায় মাঝি অনেক চেষ্টা করেও ছাড়াতে পারে না। নেমে কয়েকবার জোরে জোরে ধাক্কা মারে।

এবার নৌকা চলতে শুরু করে। এতক্ষণ সবাই দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। নৌকা ছাড়া যাওয়ার আর কোন কিছু নেই, এত পথ হেঁটে কিভাবে যাবে? ছেলেটির সহযোগিতা দেখে মা বলে, 'দেখলে কে কখন কোন কাজে আসে তা বলা যায় না নৌকা চলতে শুরু করলে সে লাফ দিয়ে নৌকায় উঠে বসে । মা তখন নিজে থেকে জিজ্ঞেস করে, তোমার নাম কি? আমার নাম জাহিদ চাচী।


তোমাদের কোন পাড়া বললে? ঐ যে উত্তরপাড়া, আপনদের বড় পুকুরের উত্তর পাশের বাড়িটা আমাদের। তুমি কি কর এখন? আমি কলেজে পড়ি, এবার আই.এ. তে ভর্তি হয়েছি ।

বাবা তখন জিজ্ঞেস করে তুমি মফিজের ছেলে না?
হ্যাঁ চাচা তোমরা কয় ভাই বোন ।
দুই ভাই তিন বোন, আমি সবার বড়।
তোমাদের চাষবাস আগের মত আছে না?
আগের চেয়ে বাড়ছে, আমি বাজানকে কাজে কামে সাহায্য করি।
ভালো,বেশ ভালো।

আরো কয়েকবার বালুচর জেগে উঠা জায়গায় আটকে পড়ে নৌকা। জাহিদ প্রতিবারই পানিতে নেমে নৌকা ঠেলে গতি ফিরিয়ে এনেছে আবার। মাঝির সাথে বেঠাও টেনেছে কোন ক্লান্তি যেন তার মাঝে নেই। নৌকা মেরিনাদের গাঁয়ে এসে পৌঁছতে বিকেল গড়িয়ে যায়। নৌকা থেকে একের পর এক নেমে আসে। বড় ব্যাগটি বাবা হাতে তুলে নেওয়ার আগে জাহিদ বলে, চাচা ওটা আমাকে দেন, ছোটটি আপনি নেন । বাবা প্রথমে না বলে, কিন্তু ততক্ষণে সে কাঁধের ওপর তুলে নেয় ব্যাগটি ।

বিলের মাঝ পথ ধরে পড়ন্ত বিকেলে মেরিনারা বাড়িতে পৌঁছতে সন্ধ্যা নেমে আসে । বাড়িতে আসার পর জাহিদের আনন্দের সীমা থাকে না। সে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয় মেরিনাদের গাঁয়ে আসার সংবাদ ।

কয়েকদিন বেশ আনন্দে কেটে গেল । যাদের সাথে কোনদিন দেখা হয়নি আগে তাদের সাথেও পরিচয় হলো। সবাইকে মনে হলো আপনজন, খুব কাছের লোক। গ্রামে বাড়ি আর পাড়ার লোকের মাঝে এত যে মিলমিশ থাকতে পারে তা কখনো জানতো না। সবাই মেরিনাকে পেয়ে যেন নতুন সাথী খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু খুশীর বন্যা কিছুদিনের মধ্যে মিলিয়ে যেতে থাকে । শহরের অস্থিরতা গ্রামকেও নাড়া দেয়। শহর থেকে ছুটে আসা মানুষের পেছনে পেছনে হানাদারের থাবা গ্রামকেও বিপন্ন করে দেয়।

শুধু মানুষ নয়, প্রকৃতির সব প্রানীই নির্বাক হয়ে উঠে, প্রতিরোধের সিঁড়ি তৈরী করে একের পর এক। একদিন খবর হয় জাহিদসহ আরো পাঁচজন পাড়ার তরুন ছেলে মুক্তিযুদ্ধে চলে গেছে। জাহিদের মা কাঁদতে কাঁদতে বেহুশ হয়ে পড়ে যায়। তার বাবা নিঃশব্দে বসে থাকে। কারো সাথে কথা বলে না তেমন। গ্রামের কেউ আর হাসি আনন্দে মেতে উঠে না।

কয়েকমাস পর বাবা একদিন মাকে এসে বলে, শহরের পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে স্বাভাবিক । লোকজন ফিরে যাচ্ছে। যান-বাহন চলছে, অফিস আদালতও আবার চালু হয়েছে । আমরা ইচ্ছা করলে শহরে চলে যেতে পারি । মা আর দেরি করে না, কাপড়চোপড় গুছিয়ে নেয়। পরের দিন সবাই শহরের দিকে রওনা দেয়। পথে তেমন অসুবিধা হয়না। এক জায়গায় আর্মিরা পরিচয় জানতে চেয়েছিল, বাবা আগে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান থেকে পরিচয়পত্র নিয়ে রেখেছিল।

তাই সহজে ছেড়ে দিয়েছে। বাসায় এসে খুব অস্বস্তিতে কাটাতে হলো কয়েকদিন । কোথাও বের হওয়ার জো নেই। বাবা স্কুলের খবর নিয়েছে। স্কুল খোলা, কয়েকজন শিক্ষক আসে, ছাত্রী কেউ আসে না। তাই ক্লাস হয় না। ক্লাস টেনে উঠার পর দশদিনও ক্লাশ হয়নি। কিছুদিনের মধ্যে বদ্ধভাবটা কাটতে থাকে। ছোটবেলা থেকে এই বাসায় বড় হয়েছে, বড়ই আপন বাসাটি। কথাটি ভাবতে পারার পর থেকে মনটি বদলে থাকে। কখনো বারান্দায় দাঁড়িয়ে কখনোবা ছাদের উপর উঠে সারা শহরটাকে দেখে নেয়। রাস্তা দিয়ে তখন মিলিটারীর গাড়ি ছুটে যায় দ্রুত গতিতে।

দূর থেকে গুলির শব্দ শোনা যায় । মা তখন ভেতর থেকে ডাক দেয় মেরিনাকে। সে ঘরে ঢুকে বলে আমাকে নিয়ে তুমি শুধু শুধু ভয় পাও । কিছুদিন যেতে না যেতে গোলাগুলির শব্দ বেড়ে যায়। গ্রেনেডের বিকট শব্দও কানে আসে। সবাই বলাবলি করে, শহরে মুক্তিবাহিনীর ছেলেরা ঢুকে পড়েছে, কয়েক জায়গায় আক্রমণও চালিয়েছে । আর্মিদের সাথে নাকি রীতিমত ফাইট করে যাচ্ছে। প্রথম প্রথম বিশ্বাস হয় না। বাবা একদিন বাইর থেকে এসে বলল, মুক্তির ছেলেরা রহমতগঞ্জে তিনজন হানাদারকে খতম করে দিয়েছে । মৃত্যু সংবাদ শুনে কেমন যেন আনন্দ হলো, মনটাও সাহসে ভরে উঠলো বর্ষা শুরু হয়েছে।

কয়েকদিন থেকে একাধারে বৃষ্টি ঝরছে। আজ দুপুরে হটাৎ সূর্য দেখা গেছে একবার। আবার সূর্যকে ঢেকে ফেলেছে। কিন্তু বৃষ্টি থেমে গেছে। বিকেল হতে হতে সব মেঘ যেন কোথায় হারিয়ে গিয়ে সূর্যটাকে মুক্ত করে দিয়েছে। বর্ষার বিকেলের মত মনে হয় না, যেন শরতের বিকেল। ছাদে উঠে মেরিনা কিছুক্ষন দাঁড়ালো, পরপর আর্মির দু'খানি গাড়ি রাস্তা দিয়ে চলে গেল । কি যেন ভেবে আবার নেমে পড়লো সে। বারান্দায় বেতের কুশনটা বের করে হেলান দিয়ে বসলো। হটাৎ কানে গুলির আওয়াজ আসলো। পরপর অনেকগুলি ব্রাশ ফায়ারের মত শব্দ ভেসে আসতে লাগলো।

মেরিনা দৌঁড়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে। মা তাড়াতাড়ি কাচের জানালা বন্ধ করে, বাবা বাসায় ছিল, এঘর থেকে ওঘরে পায়চারী করতে থাকে। তখন বাইরে গুলির শব্দ আরো বেড়ে যেতে থাকে। বাবা সবাইকে নিয়ে বেডরুমে চুপচাপ বসে থাকে মনে হচ্ছে গেইটের বাইরে মেইন রোডের ওপর গোলাগুলি চলছে। যে কোন মুহুর্তে বাসায় এসে পড়তে পারে। হঠাৎ গুলির শব্দ থেমে যায়।

কিছুক্ষনের মধ্যে বাইরের গেইটে ধুম ধুম আওয়াজ করে কে যেন। ভয়ে সবার বুক কাঁপতে থাকে। মা বার বার বাবার দিকে তাকায়। বুঝতে পারে কে একজন দেওয়াল টপকে ভেতরে ঢুকেছে। মিনিটের মধ্যে দরজা ধাক্কার আওয়াজ কানে আসে। বাবা যেতে চাইলে মা ইশারায় নিষেধ করে। ততক্ষণে দরজায় আওয়াজ আরো বেড়ে যায়।

সাথে অস্পষ্ট এক কণ্ঠস্বর ভেসে আসে। দরজা খুলুন, আমাকে বাঁচান'। বাবা আর থেমে থাকতে পারে না। দরজা খুলতে এগিয়ে যায়। দরজার কাছে এসে কি যেন ভাবে। তারপর দরজা খুলে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে খাবে । মা আর মেরিনার সামনের রুমে এসে অবাক নয়নে দেখে জাহিদ। তার বাম বাহু থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে। তখন বাইরের গেইটে খুব জোরে জোরে আওয়াজ হয়। জাহিদ চমকে উঠে বলে, ওরা এসে গেছে, আমি লুকিয়ে পড়ি। মেরিনা মুহুর্তে দেরী না করে জাহিদকে নিয়ে সিঁড়ির ঘরে উঠে।

পুরানো জিনিসপত্র যেখানে অনেকদিন থেকে রাখা হয় সেখানে জাহিদ লুকিয়ে যায়। ততক্ষণে মিলিটারী গেইটের ভেতর ঢুকে পড়ে। অস্বীকার করে একজন মুক্তিযোদ্ধার আশ্রয় নেওয়ার কথা। ওরা বিশ্বাস করে না। ফোটা ফোটা রক্তের দাগ ধরে দ্রুত সিঁড়ি ঘরে পৌঁছে যায়। পুরানো জিনিসপত্র সব এদিক ওদিক ছুঁড়ে মারে । টেলিভিশনের পুরানো কার্টুনটা সরাতেই জাহিদকে দেখা যায়। সে নিজেকে আড়াল করতে চেষ্টা করে কিন্তু পারে না।

ওদের একজন চীৎকার করে বলে, দু'হাত উপরে তুলে আত্মসমর্পন কর। তখন বারুদের আর্তনাদের মত তার কন্ঠ থেকে বেরিয়ে আসে, 'মুক্তিযোদ্ধারা মরতে শিখেছে, হারতে শিখেনি' । ততক্ষণে ওরা জাহিদকে পেছন থেকে বেয়োনেটের খোঁচায় ক্ষত-বিক্ষত করে তোলে । তারপর টেনে হেচড়ে বাইরের জীপে তুলে নিয়ে যায়।

আর কখনো ফিরে আসে না। বৃষ্টি থেমে যায়। মেরিনা তবুও জানালার গ্রীল ধরে নির্বাক দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে থাকে। প্রচ্ছন্ন স্মৃতির মাঝে হারিয়ে যায় সে। এতদিন পর বোবা কান্নাটা কখন তার দু'চোখ অশ্রুসিক্ত করে তোলে টেরও পায় না।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!
close