প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ৫০ টি সহীহ হাদীস

Mofizur Rahman
0

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ  (সাঃ) এর ৫০ টি ছোট  হাদিস- যা আপনার আমার ঈমানকে মজবুত করতে সাহায্য করবে। 50 authentic hadiths of the beloved Prophet Muhammad (PBUH).


প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ  (সাঃ) এর ৫০ টি ছোট  হাদিস- যা আপনার আমার ঈমানকে মজবুত কর


হাদীস হলো রাসুল (স:) এর বাণী, যা পবিত্র কুরআন এর পর ২য় স্থানে রয়েছে। ইসলামের যে সাতটি বিষয়ের উপর আমাদের সকলকে ঈমান আনতে হবে তার মধ্যে হাদীস ও অন্যতম।

হাদীস সমূহের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য:

  • প্রত্যেকটি হাদীস সহীহ এবং গ্রহন যোগ্য।
  • প্রতিটি হাদীসের রাবী, মতন, সনদ, ধারাবাহিকতা সুন্দরভাবে ও সাবলীল ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
  • অধিকাংশ হাদীসের রেফারেন্স সহকারে দেওয়া হয়েছে।
1. প্রখ্যাত ফকীহ সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, হযরত নবী করীম (স:) যখন সফরে থাকতেন তখন অবশ্যই দুটি নামায একত্রে আদায় করতেন। - (সুনানু ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৫)

2. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জেহাদ কিংবা মুজাহিদের সাজসরঞ্জামের ব্যবস্থা করে নাই। কিংবা মুজাহিদের পরিবার পরিজনের দেখা শোনাও করে নাই, সে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা কেয়ামতের (মৃত্যুর) পূর্বে যে কোন বিরাট বিপদে পতিত করবেন।- আবু দাউদ।


3. বিশিষ্ট হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত ফযল ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু  তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, মহানবি সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম একদা কাবাগৃহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন, কিন্তু তিনি কাবার অভ্যন্তরে নামাজ পড়লেন না; বরং যখন কাবার ভিতর থেকে বের হয়ে আসেন তখন কাবাগৃহের দরজার পাশে দু'রাকাত নামাজ আদায় করেন।- (সুনানু ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ২২৭ মুল কিতাব) 


4. যে তার সময় আল্লাহর জন্য ব্যয় করে না, তার জন্য জীবন অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়।


5. যারা সবসময় ইন্ডিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠা বসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল হয়।


6. তুমি যত সিজদাহ্ দিবে, আল্লাহ তত গুনাহ মাফ করে দিবেন।


7. সুরা ফাতিহা প্রায় ১০০০ রোগের ঔষধ।


৪. হাতের তালুতে জ্বলন্ত আগুনের কয়লা রাখলে যেমন কষ্ট হবে, তার চেয়ে বেশি কষ্ট হবে শেষ জামানায় ইমান রাখতে।


৭. রোজাদারদের জন্য প্রতিদিন জান্নাত সুসজ্জিত করা হয়।


10. রাসুল (সাঃ) বলেছেন-"কিয়ামতের দিন সব নবীর চেয়ে আমার উম্মতের সংখ্যা বেশি হবে এবং আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবো।"[সহীহ্ মুসলিম-১৯৬]


11. যে ব্যাক্তি রোজা রাখা অবস্থায় মারা যাবে আল্লাহ তাকে কেয়ামত পর্যন্ত সকল রোজার সাওয়াব দান করবেন।


12. যে ব্যাক্তি ফযরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হিফাজাতে চলে গেলো।


13. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- "রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।" (মুসনাদে আহমাদ: হাদিস ৬৬২৬)


14. নবীজি বলেছেন,"রোজাদারদের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির সংবাদ হলো, হাশরের মাঠে আল্লাহ সবার আগে রোজাদারদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।"


15. যখন রমজান আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।


16, রাসূল (সাঃ) বলেন,"যখন কোনো বান্দা আল্লাহর দিকে দুটি হাত উঠায়, তখন তিনি তা ব্যর্থ বা শূন্য ভাবে ফিরিয়ে দেন না।"(তিরমীজি-৫/৫০২)


17. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,"একটি খেজুরের অর্ধেক হলেও দান করে জাহান্নামের শাস্তি হতে নিজেকে হেফাজত করো।"(বুখারীঃ৬০২৩)


18. যদি ভালো হতে চাও তবে সর্বপ্রথম মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।


19. তুমি যখন রাস্তা দিয়ে যাও তখন আল্লাহর নামে জিকির কর, কারণ হাশরের দিন ঐ রাস্তা তোমার নামে সাক্ষী দিবে।


20. তোমরা সবসময় ওযু করো কারণ কিয়ামতের দিন যারা ওযুকারী তাদের হাত-পা উজ্জ্বল থাকবে।


21. যার দুঃখ বেশি তার প্রতি আল্লাহর রহমতও বেশি।


22. যখনি নামাজে দাঁড়াবেন, জীবনের শেষ নামাজ মনে করবেন।


23. যে মহিলা গর্ভাবস্থায় এক খতম কোরআন পাঠ করবে তার গর্ভের ঐ সন্তান এক জন নেককার বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে আগমন করবে।


24. চুপ থাকার কারণে মানুষের যেই মর্যাদা হাসিল হয়, তা ষাট বছর নফল ইবাদত হতে উত্তম।

25. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "জান্নাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী আমল হলো সময়মতো সালাত আদায় করা।" (সহীহ মুসলিম ২৬০)


26. যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।


27. তুমি জানো তুমি সঠিক, তবুও তর্ক করোনা।

28. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,"তোমরা বিপদে পড়ে মৃত্যু কামনা করবে না। বরং বলবে, হে আল্লাহ যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর তখন আমাকে মৃত্যু দিন।"


29. সূরা ইয়াসিন কে কোরআনের হৃদয় বলা হয়।


30. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,"মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস, সাতটি দোযখের চেয়েও ভয়ংকর। আর একটি সুখের হাসি আটটি বেহেস্তের সমান।"


31. যে অন্যের বাবা-মা কে গালি দিলো সে যেনো নিজের বাবা মাকেই গালি দিলো।


32. রাসুল (সাঃ) বলেছেন,"আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে পারতে, তবে নিশ্চয়ই খুব কম হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।"


33. মানুষ যদি মৃত ব্যক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেতো তাহলে মানুষ মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদত।


34. মহানবী (সাঃ) বলেছেন,"সূরা ফাতিহা তোমরা ধীরে ধীরে পাঠ করো, কারণ মহান আল্লাহ নিজে তার জবাব দেন।"(মুসলিম-৯১০)


35. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"কিয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনদের পাল্লায় ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র।" (আবু দাউদঃ-৪১০১)

36. "কবরের ভিতরের প্রথম চাপ পৃথিবীর সকল কষ্টকে হার মানিয়ে দিবে।" [হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)]


37. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,"যে ব্যক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।" [সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ ৯১]


38. কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করা হবে যে প্রচুর শীত উপেক্ষা করেও ফজরের নামাজ আদায় করলো।

39. নিশ্চয় মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।(আবু দাউদ-৪৮০৭, সহীহ)


40. কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্বরন করে।


41. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি স্বয়ং জেহাদে অংশ গ্রহণ করে এবং তাতে মালও ব্যয় করে, সে ব্যক্তি প্রত্যেক টাকার বিনিময়ে সাত লাখ টাকার সওয়াব পাবে।- ইবনে মাজা।


42. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট দুটি চিহ্নের চাইতে অন্য কিছুই এত প্রিয় হয়ন। আল্লাহর রাস্তায় শরীরে আঘাত বা ক্ষতের চিহ্ন এবং দ্বিতীয় হল, আল্লাহর ফরযসমূহ থেকে কোন একটি ফরয আদায় করার চিহ্ন।- তিরমিযী।


43. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমরা হজ্জ, ওমরা কিংবা জেহাদ ফী সাবীলিল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশে সামুদ্রিক সফরে বের হয়ো না। কেননা সমুদ্রের নীচে আগুন এবং আগুনের নীচেও সমুদ্র আছে।- আবু দাউদ।


44. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যেক ব্যক্তির আমলের সমাপ্তি ঘটে, কিন্তু যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় পাহারারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, কেয়ামত কায়েমের পূর্ব পর্যন্ত তার আমল বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং কবরেও সে নিরাপদ থাকে। - তিরমিযী, আবু দাউদ।


45. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন,যে ব্যক্তি আল্লাহর পথের কোন মুজাহিদকে যুদ্ধ সরজ্ঞাম সরবরাহ করে, সে নিজেই যেন জেহাদে অংশ গ্রহণ করল।- মুসলিম।


46. হযরত আবূ হোরায়রা (রা) কর্তৃক বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হযরত রাসূলুল্লাহ (স)- কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ যেন কখনও শুধু জুমআর দিনে রোযা না রাখে। তবে জুমআর আগের কিংবা পরের দিনও যোন রোযা রাখে। -(বোখারী, হাদিস নং ১৮৬২)


47. হযরত আবূ সালামা (রা) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রা)- কে বলতে শুনেছি, আমার উপর রমযানের কাযা রোযা থাকত, কিন্তু শাবান মাস আসার পূর্বে আমি তা আদায় করতে পারতাম না। ইয়াহইয়া বলেন, হযরত নবী করীম (স)- এর খেদমতে অধিক ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি কাযা রোযা আদায়ের অবকাশ পেতেন না। -(বোখারী, হাদিস নং ১৮২৬)


48. " রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সামান্য সময়ও আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করেছে, তার জন্য বেহেশত অবধারিত।- তিরমিযী।


49. প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, আর দেহের যাকাত হচ্ছে রোজা।


50. উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন হামযা ইবনে আমরুল আসলামী (রা) অধিক মাত্রায় রোযা রাখতে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি হযরত নবী করীম (স)- কে বললেন, আমি সফরেও রোযা রেখে থাকি। হযরত নবী করীম (স) বললেন, সফর অবস্থায় তুমি ইচ্ছা করলে রোযা রাখতে পার নাও রাখতে পার। -(বোখারী, হাদিস নং ১৮১৯)


আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সঠিক জ্ঞান এবং বুঝার তৌফিক দান করুন এবং আমাদেরকে এই সমস্ত হাদিসসমূহের উপর আমল করতে সাহায্য করুন। আমিন ❤

ফেইজের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!
close