The Canterbury Tales Summary and Critical Review by Chaucer (Bangla)

Mofizur Rahman
0

The Canterbury Tales Summary and Critical Review  by Chaucer (Bangla)

M.A Final Year
Department of English
Course Name: Geoffrey Chaucer
Course Code: 311101
Topics: The Canterbury Tales.
Bangla Summary And Critical Review

(toc)

The Canterbury Tales Summary and Critical Review  by Chaucer (Bangla)
The General Prologue to the Canterbury Tales

বিষয়বস্তু - subject matter

এই প্রোলগ বা মুখবন্ধের উদ্দেশ্য দুইটি - সেই চরিত্রগুলোর সাথে পরিচিত করিয়ে দেওয়া যায়া এই তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করছেন এবং পরবর্তী গল্পগুলোর জন্য একটি কাঠামো স্থাপন করা। অকপটে বলতে গেলে “The General Prologue to The Canterbury Tales" ব্যতীত চসারের "The Canterbury Tales” এর অন্যান্য গল্পগুলোর কোনোটিই তেমন যুক্তিযুক্ত বা উদ্দেশ্যপূর্ণ হয় না।


সাধারণ প্রস্তাবনা - General recommendations

জিওফ্রে চসার শুধুমাত্র একজন রাজসভাসদই ছিলেন না একই সাথে তিনি একজন কবি, দার্শনিক এবং জ্যোতিষিও ছিলেন। যাহোক, ইংরেজি সাহিত্যিক পিতাকে আজ তার 'ক্যাতারবেরীর গল্পের জন্য সবচেয়ে বেশি স্মরন করা হয়। যার কিনা সতেরো হাজারেরও বেশি লাইন এবং চব্বিশটি গল্প রয়েছে। ক্যাডারবেরী গল্পের প্রস্তাবনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পাঠকদেরকে একটি যাত্রার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া যেখানে প্রতিটি চরিত্রকে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।


এপ্রিল মাস তার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য বর্ষণকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এসেছে, প্রকৃতির সমস্ত খরাকে দূরীভূত করে প্রকৃতিতে এনে দিয়েছে নতুন যৌবন, উদ্দীপনা। এপ্রিলের মধুর পানিতে অবগাহন করে এবং পশ্চিমা বায়ুর চুমুতে ফুলগুলো প্রবলভাবে ও আরো সুন্দররূপে ফুটতে শুরু করে। এছাড়া এই সুন্দর সময়টাতে তীর্থযাত্রীরা তাদের যাত্রা ঋতুর আশির্বাদকে সাথে নিয়ে শুরু করে।


আর তাই চসারের সাংগীতিক রচনা শুরু হয় যার দৃশ্যাবলী লন্ডনের সডিথওয়ার্ক নামক একটি জায়গার ট্যাবার্ড নামক একটি সরাইখানায় স্থানান্তরিত হয়। যখন সরাইখানাতে উনত্রিশ জনের একটি দল প্রবেশ করে তখন গল্পকার (চসার) তীর্থযাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাদের কথাবার্তায় বুঝা গেল তারাও তীর্থযাত্রায় যাচ্ছে এবং গল্পাকার তাদের সাথে যোগ দিলেন। যখন এপ্রিল তার সুগন্ধীর নহর নিয়ে প্রকৃতিতে আসে প্রকৃতির মধ্যে প্রাণ ফিরে আসে, প্রতিটি শিকড় ভেদ করে তারা তাদেরকে তাদের তরলে স্নান করায় যার দরুণ গাছে গাছে সজিবতা দেখা।


যায় আর এই সময়টাতে তীর্থযাত্রীরা তীর্থে বের হয়, আর এই ভাবেই শুরু হয় 'ক্যাতারবেরী গল্প' এর প্রারম্ভিকা। কথককে সর্বপ্রথম ট্যাবার্ড নামক সরাইখানায় দেখতে পাওয়া যায় যার সাথে পরবর্তীতে আরো ঊনত্রিশ জন তীর্থযাত্রী যোগ দেয়। আলাপ-আলোচনার পর সে অন্যান্য সাথীদের সাথে তীর্থে যেতে রাজি হয়। তবুও অন্যকোন গল্প বলার আগে সে তীর্থযাত্রীদের কাছে পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং তাদের সামাজিক পদবি তুলে ধরে। সে সর্বোচ্চ পদবি হতে শুরু করে সর্বনিম্ন পদবি পর্যন্ত তুলে ধরে।


বীরবর্তী যেহেতু একজন মূল্যবান ব্যক্তি তাই তাকে সর্বপ্রথম বর্ণনা করা হয়। সে অনেক দেশে ধর্মযুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং তার ভদ্রতা ও যৌগ্যতার জন্য তাকে সব সময় সম্মানিত করা হয়েছে। যে জায়গাতেই সে গিয়েছে কথক আমাদের বলেছেন যোদ্ধার অসাধারণ কৃতিত্ব ছিল। যোদ্ধাকে সব সময় মোটা কাপড়ের তৈরি আড়ম্বরপূর্ণ নিমা পড়তে দেয়া হত। যোদ্ধা সব সময় তার ছেলে স্কোয়ারকে সাথে রাখত যে কি না একজন প্রাণবন্ত যুবক ও প্রেমিক ছিল। বরং স্কোয়ার ছিল কিছুটা খেয়েলি স্বভাবের, সে সাদা এবং লাল ফুলের সাজানো জামা পরিধান করত এমনকি সে সর্বদা বাঁশি বাঁজায় নতুবা খেলে।


তাদের সাথে কোট ও ঘোমটা পরিহিত একজন রাজভৃত্যও ভ্রমনে যাচ্ছিল। জমিদার ভৃত্যটি অস্ত্রাদি বহনে খুব দক্ষ ছিল এবং ভ্রমনে সে তার সাথে অসংখ্য অস্ত্র বহন করে যার মধ্যে তীর, আর্থব্যান্ড, তরবারি, ঢাল এবং বর্শার মত ধারালো একটি ছুরি নিয়ে যাচ্ছে। সে তার বক্ষে ক্রিস্টোফারের একটি ছবি ধারণ করেছে।


যোদ্ধাকে পরিচিত করে দিয়ে এবার কথক পাদরীদের দিকে ঘোরে এবং ম্যাডাম ঈগলটাইন নামক একজনকে দিয়ে শুরু করে। সে খুব চমৎকারভাবে ধর্মীয় স্বার্থে গাইতে পারে, অনর্গল ফ্রেঞ্চ বলে যেতে পারে এমনকি সে অনুশাসন লিপিতে সমৃদ্ধিশালী। সে এতই কাঁদুনে এবং দানশীল যে, যদি তার সামনে একটি ইদুরও ফাঁদে পড়ে সে কেঁদে দেয়।


সে সবসময় দুটো কুকুর সাথে রাখে। সে সবসময় ব্রোক পরিধান করে যেখানে খোদাই করে লিখা রয়েছে যে, ভালবাসা সবকিছুকে জয় করে। তারপর আসে সন্ন্যাসীর কথা যে কিনা খুব বেশি সুন্দর একজন ব্যক্তি যে শিকার করতে ভালোবাসে সাথে সাথে সে নতুন নতুন রীতিনীতি অনুসরণ করে এবং পুরনো রেওয়াজকে পছন্দ করে না। সে কোন পুঁথিগত সন্ন্যাসী নয় যে কোন মঠে শিক্ষা লাভ করে বরং সে সবসময় খরগোশ শিকার করতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখে।


তারপর আসে খ্রিস্টান ভিক্ষুর কথা যে তাকে অনুসরণ করে সে অবাধ্য এবং প্রফুল্ল স্বভাবের। সে শহরের সব মহিলার এবং জমিদারদের অত্যন্ত প্রিয়। সে স্বীকারোক্তি শুনে এবং পাপমোচন করে সাথে সাথে সে একজন চমৎকার ভিক্ষুকও বটে যে কিনা নিজে নিজে পেনি উপার্জনে সক্ষম যেখানেই সে যায়। তার নাম হচ্ছে হিউবার্ড।


ব্যবসায়িটি একটি কাঁঠওয়ালা তীরের কর্ণবিশিষ্ট রং বেরং এর এর জামা পরিধান করে তার ঘোড়ার উপর বসে। সে গম্ভীরভাবে তার মতামত দেয় এবং সুন্দরভাবে সে তার ব্যবসা পরিচালনা করে। সে কখনো কণগ্রস্থ হয় না তবুও কথক আশংকাজনকভাবে মন্তব্য করেন আমি জানিনা কিভাবে লোকজন তাকে ডাকে অথবা তাকে চিন্তা করে।


যাজক ব্যবসায়িকে অনুসরণ করে। অক্সফোর্ডের একজন ছাত্রের এরিস্টনের বিশটি থাকবে অনেক কাপড় কিংবা অনেক বাদ্যযন্ত্র থাকার চেয়ে। তার কেবল মাত্র একটি ছোট স্বর্ণের অংশ আছে যা সে বই কিনতে এবং শিখতে ব্যয় করবে এবং তার পড়াশোনার অনেক যত্ন নিবে এবং পড়বে। সে তার প্রয়োজনের বেশি একটি শব্দও বলবে না যা খুব সংক্ষিপ্ত, দ্রুত এবং বাক্যে পরিপূর্ণ। আইনের লোকটি খুব বিচক্ষণ এবং সম্মানিত ব্যক্তি অথবা তার জ্ঞানী কথাবার্তা তাই বলে। রাজার ধারা নিয়োগপ্রাপ্ত সে একজন জুরির বিচারক এবং উচ্চাসনের হওয়াতে সে অনেক অনুদানও পেয়ে থাকে। সে একটি বৈধ দলিলকে খাড়া করাতে পারে যেখানে কেউ ভুল ধরতে পারবে না।


আইনের লোকটির সাথে একজন অনভিজাত জমিদারও ভ্রমণ করছে যার ফুলের চেয়েও সাদা দাড়ি রয়েছে এবং তার মেজাজ রক্তবর্ণের। জমিদারটি অত্যন্ত খাদ্যপ্রিয় যে কিনা একখণ্ড রুটিকে মদে চুবিয়ে খেতে পছন্দ করে যা এপিকিউরাসের ছেলে হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জমিদারটি রন্ধন সম্পর্কীয় আনন্দের জন্য বাঁচে। তার ঘর মাছ, মাংসে সর্বদা পরিপূর্ণ থাকে। ঋতুতে ঋতুতে সে তার খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করে। পরবর্তীতে একজন ছোট দোকানদার, সূত্রধর, একজন বয়নশিল্পী, একজন রজক সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়। তাদের কেউই সর্বশেষে কোন গল্প বলেনি।


একজন পাচককে সাথে আনা হয়েছে যেন মুরগীগুলোকে হাড়ের সাথে মিশিয়ে মসলা দিয়ে রান্না করাতে পারে। কিন্তু কথকের ভাষ্যমতে এই নির্দিষ্ট পাচক প্রকৃতপক্ষে একধরনের বিশেষ মদ্য তৈরিতে পারদর্শী। পাচকটি ভাজতে জানে, চকমক করতে জানে এমনকি মাংস সিদ্ধ করতে জানে, কর্তন করতে জানে এবং ভাজাভাজা করতে জানে ভালো কিন্তু এটা দুঃখের ব্যাপার যে, তার নৈতিক দোষ রয়েছে।


পরবর্তীতে আসে একজন শীপম্যান যে কিনা সূর্য হতে খসে পড়া ঘোড়ায় চড়ে আসা পা পর্যন্ত মোটা কাপড়ের তৈরি গাউন পড়া একজন ব্যক্তি। নাবিকটি যখন জাহাজের সবাই ঘুমন্ত অনেকবার মনে চুমু দিয়েছে। নাবিকটি অন্যধ্যে থাকার দরুণ অনেক ঝড় দেখেছে এবং সে সবগুলো প্রোতাশ্রয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছে। তার জাহাজকে বলা হয় মোউভিল্যাইন।


তারপর আসে লাল ও নীল পরিহিত একজন মেডিসিন ডাক্তার যার মত অন্যকেউই মেডিসিন সার্জারি সম্পর্কে কথা বলতে পারে না। সে প্রতিটি রোগের কারণ এবং প্রতিকার করার উপায় জানে। সে একজন সম্পূর্ণ ঔষধ ব্যবসায়ী এবং তার ঔষধ ও মিশ্রণদ্রব্য পাঠানোর জন্য বিক্রেতা রয়েছে। যাইহোক সে ডাক্তার বাইবেল পাঠ করেনি।


বাঘ শহরের বউয়েরা সবাই মোটামুটি কম বেশি বধির যা কিনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। বাখের বউ কাপড় তৈরিতে এতই পারদর্শী যে সে চসারের ওয়ান্ডের কাপড় তৈরির রাজধানীকে অতিক্রম করে গেছে। এমনকি তাকে লম্পট হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে যে কিনা ভালোবাসা সম্পর্কে সব ধরনের উত্তর জানে।


পরবর্তীতে একজন ধার্মিক ব্যক্তি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে যে কিনা পণ্যের দিক হতে দরিদ্র হলেও ধর্মীয় কথাবার্তায় খুব সমৃদ্ধ। সে একজন শিক্ষিত ব্যক্তি যে কিনা ক্রিস্টের বেদবাক্য প্রচার করে এবং জেলবন্দিদেরকে শিক্ষা দেয়। সে তার বৃহৎ প্যারিসে এমন করে যেন সে এই প্যারিসের সকল আদিবাসীদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে। সে প্যারিস আদিবাসীদের কাছে একজন উদাহরণস্বরূপ যে কিনা প্রথমে কাজ করে পরবর্তীতে প্রচার করে। পাদরীদের সাথে আরো একজন প্রোম্যান ভ্রমণ করে যার কাজ হচ্ছে গোবরভর্তি গাড়ী হতে গোবর নামানো। সে একজন ভাল ও কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তি যে শান্তিতে এবং বদান্যতার সাথে বসবাস করে। সে একটি ঘোটকীতে চড়ে এবং ঢিলা প্যান্ট পরিধান করে।


সর্বশেষ একজন মিল শ্রমিকের বর্ণনা আসে যে কিনা বৃহৎ মাংসপেশীর অধিকারী ব্যক্তি যে অনেকবার মল্লযুদ্ধে পুরস্কার বিজয়ী। এমন কোন দরজা নাই যা সে উত্তোলন করতে পারে না কিংবা ভাঙতে পারে না। তার একটি কাল, চওড়া নাসারন্দ্র রয়েছে, সর্বদা একটি তরবারি বহন করে সেই সাথে একটি শিশু। সে শস্য চুরিতে এবং তার জন্য তিনগুণ দাম হাঁকাতে খুব পারদর্শী। তারপর চসার বলে যে, সৎ কোন মিল শ্রমিক নেই।


তারপর আসে খাদ্যবরাদ্দকারী এবং চালকদের বর্ণনা। তারপর আসে দীর্ঘ পা বিশিষ্ট লিকলিকে দজ্ঞান খোজজস্ট্রাটের কথা। সে নির্ভুলভাবে জানে তার কি পরিমাণ শস্যকণা আছে এবং সে তার শস্যকণা সংরক্ষণে খুব দক্ষ। সেখানে এমন কোন জমির মালিক কিংবা পশুপালক নেই যাদের গোপনীয়তা সে জানেনা আর তাই তারা তাকে খুব ভয় করে। তারপর রক্তিম মুখমণ্ডলের আহ্বায়কের কথা আসে যার ললাটে একটি রোগ রয়েছে। চারিত্রিকভাবে সে লম্পট। এমন কোন ঔষধ নেই যার তার ব্রনকে দূর করতে পারে। সে মদ পান করতে ভালবাসে এবং পেয়াজ, রসুন খেতে পছন্দ করে। প্রতারনায় সে অত্যন্ত দক্ষ।


আহ্বায়কের সাথে তার সঙ্গী, বন্ধ সার্জনকারী ভ্রমণ করে এবং সেই হচ্ছে সর্বশেষ তীর্থযাত্রী যাকে বর্ণনা করা হয়েছে। মোমের মত হলুদ চুল বিশিষ্ট সার্জনকারী গান ধরে, আস এবং আমাকে ভালবাসো। সে তার ওয়ালেটে বোম হতে আসা কানায় কানায় পূর্ণ মার্জনাপত্র বহন করে। সার্জনকারী যৌন বিচারে একজন অস্পষ্ট ব্যক্তি যার সরু বালক সুলভ স্বর রয়েছে যা কথককে ঘোটকীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।


কথক লিখে যে সে আমাদেরকে শ্রেণী, পোষাক এবং যতগুলো তীর্থযাত্রী ছিল সবার সম্পর্কে বর্ণনা করেছে। তারপর সে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে যে, যে ব্যক্তি একটি গল্পকে পুনরাবৃত্তি করে যা কিনা অন্যজনের বলা গল্প তাহলে সে যেন প্রকৃত গল্পকারের মত পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করে। সর্বশেষে নিমন্ত্রণ কর্তার কথা আসে যে ব্যক্তি হিসেবে অত্যন্ত সুন্দর যে শারিরিকভাবে অত্যন্ত বড়সর এবং বড় বড় কালো চোখের অধিকারী। নিমন্ত্রণকর্তা সবাইকে সাদরে সরাইখানায় অভিবাদন জানায়, সে পরিকল্পনা করে যে, পথিমধ্যে তারা গল্প বলবে এবং একে অপরকে আনন্দ দিবে যা সকল তীর্থযাত্রীদের সন্তুষ্টি লাভ করে।


নিমন্ত্রণকর্তা যা বলল তার অর্থ দাঁড়ায় যে, প্রত্যেকে ক্যাভারবেরীর পথে দুটো করে গল্প বলবে এবং ফিরতি পথে আবারো দুটি এবং যে তার গল্পে সবচেয়ে সুন্দর বাক্য ব্যবহার করবে তাকে অন্য তীর্থযাত্রীরা তাদের টাকা দিয়ে রাতে ভোজন করাবে। নিমন্ত্রণকর্তার মতামতের সাথে সবাই একমত পোষণ করে এবং নিমন্ত্রণকর্তাকে বিচারক হিসেবে নির্ধারণ করে শুয়ে পড়ে।


পরবর্তী সকালে নিমন্ত্রণকর্তা ঘুম হতে উঠে অন্যদেরকে জাগিয়ে তোলে লন্ডন হতে দুমাইল দূরের ছোট নদী সেইন্ট থমাসের দিকে যাত্রা শুরু করে। তারপর নিমন্ত্রণকর্তা লটারি দেয় কে প্রথম গল্প বলবে। যোদ্ধার কপালে জুটে প্রথম গল্প বলার সুযোগ। তারপর যোদ্ধাকে বলা হয় যেকোন বিষয়ের উপর তার গল্প শুরু করার জন্য। তীর্থযাত্রীরা সম্মুখপানে অগ্রগামী হচ্ছে এবং যোদ্ধা তার গল্প বলা শুরু করে।


এক নজরে The General Prologue to The Canterbury Tales

The Canterbury Tales এপ্রিল মাসে শুরু হয়, ঠিক বর্ণনাকারি (চসার) যেই সাউথওয়ার্ক-এর টাবার্ড হল হতে বিখ্যাত ক্যান্টারবেরি উদ্দেশ্য তীর্থযাত্রা শুরু করেন, যেখানে ধারণা করা হয় স্যার থমাস বেকেট, খ্রিস্টধর্মের জন্য একজন শহীদ, চিরনিদ্রায় শায়িত। এই The General Prologue (সাধারণ মুখবন্ধ) হলো সেই উনত্রিশ জন ব্যক্তির মৌলিক বর্ণনামূলক তালিকা, যারা ক্যান্টারবেরির উদ্দেশ্য তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, যেখানে পথিমধ্যে তারা প্রত্যেকে একটি করে গল্প বলেছিলেন। বর্ণনাকারী তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতার সাথে বর্ণনা করেন এবং তাদের পদ ও সামাজিক মর্যাদা অনুসারে তালিকাবদ্ধ করেন।


মুখবন্ধে উল্লিখিত প্রথম তীর্থযাত্রী হচ্ছেন সম্পূর্ণরূপে একজন বীর যিনি শ্রদ্ধা ও প্রশংসার দাবিদার নায়কোচিত একজন পুরুষ, যিনি ধর্মযুদ্ধে লড়াই করেছেন। সেই বীরের সহচর হিসেবে রয়েছেন। তার পঁচিশ বছর বয়সি অবিবাহিত তরুণ ছেলে, মহিলাদের প্রতি যার রয়েছে সচেতন দৃষ্টি। সেই বীর তার রাজকিঙ্কর বা দ্বিতীয় ভূতাকেও সাথে এনেছেন। সেখানে আরও রয়েছেন একজন লাজুক, ভদ্র ঊর্ধ্বতন প্রব্রাজিকা যিনি আচরণনিষ্ঠ এবং ভালোবাসা সম্পর্কিত খোদাই করে লিখা খুব সুন্দর একটি কোড়নকাঠি পরিধান করেছেন। তার সাথে রয়েছেন তার সহকারী। যিনি দ্বিতীয় প্রব্রাজিকা নামে পরিচিত। এই তীর্থযাত্রীদের সাথে একজন সন্ন্যাসীও ছিলেন। সেই সন্ন্যাসী শিকার করতে ভালোবাসেন এবং তিনি শক্তসমর্থ ও সাহসিক/পুরুষোচিত। যেখানে কিনা খ্রিস্টান ভিক্ষু হিউবার্ট স্পষ্টত একজন অনৈতিক মানুষ যিনি প্রকৃত অর্থে মানুষকে পাপ থেকে দূরে রাখার চেয়ে অর্থ ও মুনাফার প্রতি বেশী মনোযোগী।


এরপর রয়েছেন ফ্ল্যান্ডারসের সওদাগর যিনি আত্মারী এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে বাগাড়ম্বরপূর্ণ। তিনি অবিরতভাবে বিভিন্ন পন্থায় তার মুনাফা বৃদ্ধি সম্পর্কে কথা বলেন। যদিও তিনি কেবল অর্থের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন, বর্ণনাকারী মন্তব্য করেন যে তবু তিনি সত্যিকারের একজন ভালো মানুষ। এছাড়াও এখানে একজন যাজক রয়েছেন। যিনি অক্সফোর্ডের একজন বেকার/চাকরিবিহীন ছাত্র যিনি অর্থ এবং চাকরি পেতে সহায়তা হবে এই খেয়ালে তীর্থযাত্রা করছেন। তিনি ছেড়া জামাকাপড় পরেছেন।


যা তার দাবিদাতার ইঙ্গিত দেয়। সেখানে একজন আইনজীবীও রয়েছেন। যিনি বিশ্বাস করেন যে তার আইনবিষয়ক জ্ঞানের কারণে তিনি সবচাইতে বেশী সম্মানিত এবং বাস্তবে যতটুকু না তা চেয়েও বেশী তিনি বাস্ততার ভান করেন। এই আইনজীবির সাথে তীর্থযাত্রায় ফ্র্যাঙ্কলিন নামক অপর একজন রয়েছেন, যিনি জীবনের তৃপ্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন যা মূলত হলো খাদ্য-খাবার। তার ইচ্ছা- আকাঙ্খাগুলো একাডেমিয়া ও উপসনার থেকে বহু দূরে।


বর্ণনাকারী তারপর এই যাত্রায় কম গুরুত্বপূর্ণ পাঁচজন ব্যক্তির তালিকা প্রদান করেন যারা একটি সংঘ সংস্থার সদস্য। তারা হলেন একজন বয়নশিল্পী/তাঁতী, একজন রজক, একজন ভূতোর/ জুতার মিস্ত্রী, একজন পর্দা প্রস্তুতকারক, এবং একজন চুলের ফিতা, কাটা প্রভৃতি জিনিসের দোকানদার। সেখানে আরও রয়েছেন একজন পাচক/রাঁধুনি, ডার্থসমাউথ বন্দর হতে একজন নাবিক, এবং একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। কঠোর উদ্দমী ব্যাথের স্ত্রীও ক্যান্টারবেরির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। তিনি ভ্রমণে/যাত্রায় উজ্জ্বল, জাঁকালো পোষাক পড়েছেন এবং তার পাঁচটি বিবাহ এবং বহু তরুণ বিছানাসঙ্গীর কথা বলছেন, যা তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে কৌতূহল জাগায়।


তীর্থযাত্রায় পরবর্তীজন হলেন একজন পাদরী, যিনি একজন সম্মানিত এবং দয়ালু ব্যক্তি এবং যিনি যিশুখ্রিস্ট এবং তার নিজের ধর্মসভার প্রতি খুব নিষ্ঠাবান। তার ভাই, যিনি একজন কৃষক, তিনিও রয়েছেন এই তীর্থযাত্রায় এবং যার সম্পর্কে চসার একই বদান্য শব্দসমূহের ব্যবহার করেছেন। শেষ যে কয়েকজন তীর্থযাত্রীর কথা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন শারীরিকভাবে বৃহৎ/বড় মিলার, একটি আইনজীবিদের কলেজ থেকে একজন বুদ্ধিমান এবং অধিবিদ্যাবিল খাদ্যভাণ্ডারী/রাজার সরকার, একজন লিকলিকে বদ-মেজাজী প্রধান ম্যাজিয়ে ইট, একজন আহ্বায়ক এবং একজন মার্জনাকারী। আহ্বানকারী একজন অনৈতিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট লোক। কারণ তার অবস্থান থেকে লোকদেরকে তাদের অপরিসমূহের জন্য চার্চে তলব করার ক্ষেত্রে তিনি তার পছন্দ ও অপছন্দের অনুযায়ী বিবেচনা করেন। যেখানে কিনা নিঃস্ব মার্জনাকারী পুরাপুরিভাবে দুর্বল এবং কোমল প্রকৃতির।


সকল যাত্রীরা টায়ার্ড পান্থশালায় ক্যান্টারবেরির উদ্দেশ্যে তাদের যাত্রার জন্য প্রস্তুত। এখন হৃষ্ট, সাহসী এবং দৃঢ় একজন অতিথি সেবক পরামর্শ দেন যে তাদের প্রত্যেকে ক্যান্টারবেরী যাওয়ার পথে দুইটি এবং ক্যান্টারবেরী থেকে ফেরার পথে দুইটি করে গল্প বলবে। প্রথম গল্প বলিয়ে নির্ধারণ করার জন্য প্রত্যেকে একটি বান্ডিল থেকে চিরকুট টেনে বেড় করলো এবং সেই বীর ছিলেন সেই সৌভাগ্যবান যিনি ক্যান্টারবেরীতে যাত্রা পথে এই গল্পগুলো শুরু করেন।


the canterbury tales summary, the canterbury tales summary, the canterbury tales summary, the canterbury tales summary, the canterbury tales summary, the canterbury tales summary, the canterbury tales summary, the canterbury tales summary, the canterbury tales summary the canterbury tales summary 

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!
close