বিশ্বজয়ী সেরা ১০ জন বাংলাদেশের হাফেজুল কুরআন (Top 10 World Winners Hafezul Quran of Bangladesh)

- হাফেজ নাজমুস সাকিব
- সাইফুর রহমান ত্বকী
- তরিকুল ইসলাম
- আবু রায়হান
- হেলাল উদ্দীন
- ইয়াকুব হোসাইন তাজ
- ফজলে রাব্বি আদিল
- মুহাম্মাদ জাকারিয়া
- সালেহ আহমদ তাকরীম
- আব্দুল্লাহ আল মামুন
হাফেজ নাজমুস সাকিব
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মক্কা নগরীর হারাম শরিফে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে ময়মনসিংহের ছেলে নাজমুস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ৭০টি দেশের প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাজমুস সাকিব কাবা শরীফের ইমাম আবদুর রহমান আস সুদাইসের হাত থেকে গ্রহণ করেন পুরস্কারস্বরূপ ৮০,০০০ সৌদি রিয়াল, বিশেষ সম্মাননা পদক ও সার্টিফিকেট।এর আগে সাকিব ২০১২ সালে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় এশিয়ার ২৭টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে।
সাইফুর রহমান ত্বকী
২০১৭ সালে কুয়েতের আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন সাইফুর রহমান ত্বকী । ২০১৮ বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।২০১৯ সালে (২১ জুন) জর্দানে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সাইফুর রহমান ত্বকী।
তরিকুল ইসলাম
২০১৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১০৩ দেশের প্রতিনিধির মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন মাছরাঙা’র আয়োজন ‘আল কুরআনের আলো' প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।২০১৫ সালে বাংলাভিশনের ‘পবিত্র কুরআনের আলো' প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন। ২০১৭ সালে এনটিভিতে ‘পিএইচপি কুরআনের আলো' প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান। অর্জন করেন।
২০১৭ সালে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ‘জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায়ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তরিকুল ইসলাম
আবু রায়হান
বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বলকারী আরেকজন হাফেজের নাম আবু রায়হান। মার্চ '১৮-এ কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল জিম টিভির একটি রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে সে। অনূর্ধ্ব পনেরো বছর বয়সীদের নিয়ে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনের পাশাপাশি কেরাত প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে ।১২ বছর বয়সী হাফেজ আবু রায়হান মাত্র আট বছর বয়সে কোরআনের হাফেজ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে। খুদে এই হাফেজ নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে অবস্থিত মুফতি আবদুল কাইয়ুম প্রতিষ্ঠিত বল্লভদী আল ইসলামিয়া একাডেমি শিক্ষার্থী।বড় হয়ে বিশ্বব্যাপী কোরআনের আলো ছড়াতে চায় সে।
হেলাল উদ্দীন
পবিত্র মসজিদুল হারামে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের সুনাম বয়ে এনেছে হাফেজ মুহাম্মাদ হেলাল উদ্দীন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে মক্কায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৮০ দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় স্থান অর্জন করে সে।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মক্কার আমির খালেদ আল-ফয়সাল, প্রধান বক্তা ছিলেন, পবিত্র হারাম শরিফের ইমাম আবদুর রহমান আল-সুদাইস।বিজয়ী হাফেজ মুহাম্মদ হেলাল উদ্দীনের হাতে ৭৫ হাজার সৌদি রিয়াল চেক, সনদ এবং ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি ।ইয়াকুব হোসাইন তাজ
আন্তর্জাতিক কেরাত ও হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্ব অর্জনকারী আরেক বাংলাদেশি ক্ষুদ্র তারকার নাম হাফেজ ইয়াকুব হোসাইন তাজ। ২০১৭ সালে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল জিম টিভির কেরাত ও হিফজ রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে ২৮টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে কিশোর এই হাফেজ।হাফেজ ইয়াকুব ঢাকার তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ১০ বছর বয়সী এই হাফেজের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে। তার বাবার নাম মো. হোসাইন।হাফেজ ইয়াকুব এর আগে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পঞ্চম স্থান লাভ করেছিল। সেবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ৯৬টি দেশের প্রতিনিধি
ফজলে রাব্বি আদিল
আসন্ন হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে ঐতিহ্যের দেশ মিশর আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে, রাজধানীর মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল-ইসলামী, মিরপুর-১ এর শিক্ষার্থী হাফেজ ফজলে রাব্বি। রাব্বি এ প্রতিষ্ঠানে হিফয সম্পন্ন করে ইবতেদায়ি স্তরে শিক্ষাধীন রয়েছে।এর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত গত জুলাইয়ের ৩০ তারিখে বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় হিফজ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিদের পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করে হাফেজ ফজলে রাব্বি।
মুহাম্মাদ জাকারিয়া
কুয়েত অ্যাওয়ার্ড' নামে আন্তর্জাতিক কেরাত ও হিফজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনে কিশোর হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া। ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল কুয়েতের আওকাফ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫৫টি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক কেরাত ও হিফজ প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অর্জন করে। প্রতিযোগিতাটি উদ্বোধন করেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ। হাফেজ জাকারিয়া ৩০ পারা কোরআন হিফজ গ্রুপে চতুর্থ স্থান অর্জন করে ৭ হাজার কুয়েতি দিনার ও সম্মাননাপত্র লাভ করে।কুয়েতে অনুষ্ঠিত কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ সফলতা।এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে মিশরের কায়রোয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ৫০ হাজার পাউন্ড জিতে নেয় হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া। একই বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৮০টি দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে তৃতীয় ও সুর ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করে। এছাড়াও কাতার, জর্ডান ও মিশরের কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে জাকারিয়া।
সালেহ আহমদ তাকরীম
ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার ৩৮তম আসরে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের প্রতিযোগী টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা অন্তর্গত ভাদ্রা ইউনিয়নের বাসিন্দা হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম (১৩)। ইরানের রাজধানী তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) হলে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।সপ্তাহব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ৫ মার্চ পর্যন্ত। এতে প্রথম ধাপে বিভিন্ন গ্রুপের ১৯০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত করা হয়। চূড়ান্ত পর্বে পাঁচ দেশের সেরা প্রতিযোগীর মাঝে বাংলাদেশের সালেহ আহমাদ তাকরিম সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন
২০১৩ সালে সৌদি আরবে মালেক আব্দুল আজিজ আল-সৌদি আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৭৩ দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন আব্দুল্লাহ আল-মামুন।২০১৬ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ৮৪ দেশের প্রতিযোগিদের মধ্যে হেফজ গ্রুপে ৪র্থ এবং হুসনে সাউত গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
২০১৭ সালে মিসরে অনুষ্ঠিত ২৪তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের ৭০ দেশের প্রতিনিধিদের পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকারের অনন্য গৌরব অর্জন করেছেন।
Top 10 World Winners Hafezul Quran of Bangladesh
- Hafez Nazmus Shakib.
- Hafez Saifur Rahman Tuki.
- Hafez Tariqul Islam.
- Hafez Abu Rayhan.
- Hafez Helal Uddin.
- Hafez Yakub Hossain Taj.
- Hafez Fazle Rabbi Adil.
- Hafez Muhammad Zakaria.
- Hafez Saleh Ahmad Takreem.
- Hafez Abdullah Al Mamun.