Translations and summaries of Robert Frost's poems (American Poetry)

Mofizur Rahman
0

    Translations and summaries of Robert Frost's poems (American Poetry)

    Translations and summaries of Robert Frost's poems (American Poetry)

  • Robert Frost (Born: 1874 and Died: 1963)
  • Life of Robert Frost.
  • Work in English Literature.
  • Poem Translation.
  • Poems Summary.

জীবনী ও সাহিত্যকর্ম:

জীবনী: ১৮৭৪ সালের ২৬ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়াতে রবার্ট ফ্রস্টের জন্য। নিউ ইংল্যান্ডের একটি প্রাচীন বনেদি পরিবারের সন্তান তিনি। ১৬৩২ সালে তাঁর পূর্বপুরুষেরা এই অঞ্চলে এসেছিলেন। সতেরো বছর বয়সে তিনি লরেন্স হাইস্কুল হতে গ্রাজুয়েট হন। তাঁর প্রথম দুটি কবিতার বই ইংল্যান্ড থেকে ছাপা হয়।

তার গীতিধর্মী কবিতাগুলো খুবই আকর্ষণীয়। কোনো কোনো সমালোচক বলেছেন, তাঁর কবিতাগুলো বক্তব্যপ্রধান, তাঁর ক'টি বইয়ের নাম থেকেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন 'নর্থ অভ বোস্টন', 'মাউন্টেন ইন্টারভ্যাল', 'নিউ হ্যাম্পশায়ার' ইত্যাদি। মোটকথা, দেশের একটি অংশকে তিনি তাঁর আত্মার সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছিলেন। এত বেশি আঞ্চলিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কবিতা বলা যায় সর্বগুণে গুণান্বিত।

রবার্টের যখন বয়স দশ বছর, তখন তাঁর বাবা মারা যান। এরপর তিনি মায়ের সঙ্গে নিউ ইংল্যান্ডে ফিরে যান, সেখানে স্বাধীনভাবে মানুষ হন। বারো বছর বয়স থেকে তিনি নানা ধরনের দৈহিক কাজে নিয়োজিত থেকেছেন, জুতার দোকানে কাজ করেছেন, পশমের ববিন বোঝাই গাড়ি ঠেলেছেন এবং আরো নানাবিধ কর্মে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন।

'এ বয়েজ উইল' তাঁর প্রথম কবিতার বই। তাঁর 'নর্থ অব বোস্টন' বইটি সম্পর্কে উইল ফ্রিড উইলসন মন্তব্য করেছিলেন, "ফ্রস্ট নর-নারীর মুখের কথাকে কাব্যে রূপান্তরিত করেছেন। দুর্বল কোনো কবির হাতে এসব কথা শুধু উপকথাই হতো, ফ্রস্ট তাদের অসাধারণ তাৎপর্য প্রদান করেছেন।”

কবিতার জন্য ফ্রস্ট চারবার পুলিৎজার পুরস্কারে সম্মানিত হন।

ফ্রস্ট বহু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক পদক ও ডিগ্রি লাভ করেছেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি 'ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড লেটার' থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন। প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি তাঁকে আমেরিকার জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সোভিয়েত রাশিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। ১৯৩৮ সালে তাঁর পত্নী ইহলোক ত্যাগ করেন। পত্নীর মৃত্যুতে তিনি সাময়িকভাবে ভেঙে পড়লেও তাঁর কবিতা লেখায় ভাটা পড়েনি।

সাহিত্য কর্ম :

তাঁর বিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে 'নিউ হ্যাম্পশায়ার' (১৯২৩), ওয়েস্ট রানিং ব্রুক' (১৯২৮), 'এ ফারদার রেঞ্জ' (১৯৩৬), 'এ উইটনেস ট্রি' (১৯৪২) এবং 'স্টেপেল বুশ' (১৯৪৭) বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি মাস্ক অব রিজন' (১৯৪৫) এবং 'এ মাস্ক অব মার্সি' (১৯৪৭) নামে দুটি নাটকও রচনা করেন।
১৯৬৩ সালে এই মহান কবি পরলোকগমন করেন।

দা ডেথ অভ দা হাইআর্ড ম্যান
The Death of the Hired Man

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
Musing : গভীর নীরবতা।
market things : বাজার থেকে যেসব জিনিস বাড়িতে ক্রয় করে আনা হয়। বাজার সওদা।
Harbour him তাকে আশ্রয় দাও আর ভৃত্য হিসেবে নিয়োগ দাও।
Wages: শ্রমিকের মজুরি।

There is some... money : টাকাপয়সার লোভ দেখিয়ে আমার কাছ থেকে
কেউ ওকে প্ররোচিত করে নিয়ে যেতে পারে।
Coax : মিষ্টি কথায় ভুলানো, প্রলুব্ধ করা।
Barn : গোলাঘর, যেখানে শস্য, খড় ইত্যাদি জমা করে রাখা হয় ।
Ditch : জলধারা বয়ে যাওয়ার দীর্ঘ খাত বা ছোটো নালা।

Jumbled অসংলগ্ন কথাবার্তা, কথা বলতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলা।
Will make a team of work: একত্রে মিলেমিশে কাজ করবে কি না?
Daft on education পুঁথিগত জ্ঞান বাস্তব জীবনে, কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগে না। অর্থাৎ পুঁথি থেকে জ্ঞান গ্রহণ করে সেটা সর্বত্র খাটানো যায় না।

Piqued him : তাকে যন্ত্রণা দিচ্ছে, জ্বালাতন করছে এমন।
A somebody : একজন ধনী কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ।

সরল অনুবাদ:

টেবিলে রাখা প্রাদীপ শিখায় চোখ রেখে
আনমনা মেরি অধীর প্রতীক্ষায় ছিল ওয়ারেনের তরে
যখন শুনল ফিরে আসার পদধ্বনি তার
আলতো পায়ে সে ছুটে গেল আঁধার উঠোন পেরিয়ে
একেবারে সামনে দাঁড়াল পূর্বেই সতর্ক করার তরে
সাইলাস এসেছে ফিরে বলেই জোর করে ঠেলে
বাইরে পাঠিয়ে দুয়ার আটকে দিয়ে বলল, “কিছু মনে কোরো না।”

বলেই ওয়ারেনের হাত থেকে বাজার সওদা নামাল আঙিনায়,
আর তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে কাঠের সিঁড়িতে বসল দু'জনে
বলতো,কখনো আমি তার প্রতি এমন রেগেছি কি না?
কিন্তু চাই না আমি তার এ বাড়িতে ফিরে আসাটা, বলল সে,
সেবার খড় তোলার মৌসুমে বলেছি তো তাকে, বলিনি কি
এবার গেলে তার এটাই হবে শেষ যাওয়া?
বল, সে কি কাজের যোগ্য? ওর যে বয়স তাতে
কে রাখবে ওকে কাজে, কতটা হবে কর্ম ওকে দিয়ে?
যখনই প্রয়োজনে তাকে আমি চাই,
কোনো কিছু না বলে তখনি হাওয়া,
মনে মনে ভাবে অল্প কিছু হলেই তো চলে যায় ।

তামাক কেনার পয়সা পেলেই কোনো সমস্যা নেই।
ওতেই হবে, ভিক্ষে করতে হবে না তার।
আমি বলি, বাঁধা মজুরিতে কাউকে রাখা ভালো,
ইচ্ছে থাকলেও জানি এটা সাধ্যের বাইরে মোর, অন্যেরা পারে।
সেই ব্যক্তির কাছে যাওয়াই উচিত, নিজের পরিবর্তন যদি
সে আনতে চায়, সে তো ঢের ভালো

এটাই যদি হতো তাহলে ভাবার ছিল না কিছু, কিন্তু
এটা নিশ্চিত যখনই এমন কিছু বলতে খুলবে মুখ
তখনই ভাববে কেউ ধোঁকা দিয়ে খরচের কিছু টাকা
দেবে বলে তাকে দেখাচ্ছে লোভ, ফসল কাটার মৌসুমে dome A
যখন মজুর পাওয়াটা কঠিন ব্যাপার। শীত এলে
ঠিকই ফিরে আসে আমাদের কাছে, খুব হয়েছে, ওকে
দিয়ে আমাদের কোনো কাজই হবে না আর।

চুপ! কোরো না চিৎকার, কানে যাবে ওর, বলল মেরি।
শুনুক না, আমি তো তাই চাই, আজ হোক কিংবা কাল
শুনতে হবেই তাকে এসব কথা বলছি পরিষ্কার।
ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়েছে সে চুলোর পাশে।
রোর কাছ থেকে ফিরে দেখি শরীর কুঁকড়ে
গোলাবাড়ির সামনে চলে পড়েছে গভীর নিদ্রায়।

হয়েছে, হেসো না তুমি, বড়োই হৃদয়বিদারক আর
ভয় পাওয়ার মতো ঘটনা
চিনতেই পারিনি তাকে প্রথম দর্শনে, চেনার কথাও তো নয়
অনকটা বদলেছে সে এরই মাঝে, তুমি দেখলেই বুঝবে।
জিজ্ঞেস করেছ, কোথায় ছিল সে এতটা দিন?
কিছুই বলেনি, বাড়িতে ডেকে এনে চা দিয়েছি খেতে আর
কিছুটা তামাক। ওর কাছে ভ্রমণকাহিনি শুনার অনেক কার
কসরত করার পরেও লাভ হলো না মোটেই, ও শুধু
বার বার ঢলে পড়ছিল ঘুমে।

কী বলল সে? কিছুই বলেনি কি?
যা বলেছে তা সাম্যন্যই,
সত্যি করে বলো দেখি মেরি, ও কিছু বলেছে কি?
আমার জমিগুলো নিড়িয়ে দেবে এমন কিছু বলেছে কি?
ওয়ারেন!
কিছু বলেছে কি, সেটাই শুধু আমি জানতে চাই,
অবশ্যই বলেছে। কী কথা সে বলবে বলতো?
কোনোভাবে যদি এই বৃদ্ধ মানুষটি, আহা

তার আত্মসম্মান রক্ষা করতে চায়, তোমার ক্ষতি কী তাতে?
সত্যিই যদি জানতে চাও, বলেছে সে ওপরে গরু চরানোর
মাঠটাও সে সাফসুতরো করে দেবে।
মনে হয় এমন কথা তুমি আগেও শুনেছ
ওয়ারেন, কেমন যেন সব আবোলতাবোল বলল
তুমি যদি শুনতে তা, বেশ কবার আমি আমার
কথা থামিয়ে তাকিয়ে ছিলাম ওর দিকে,
লক্ষ করছিলাম ঘুমের ঘোরে সে কথা বলছে কি না।

কেমন যেন আগোছালো মনে হচ্ছিল, তুমি যদি তখন দেখতে তাকে!
হ্যারল্ড উইলসন নামের ছেলেটার কথা মনে আছে তোমার?
সেই যে খড় কাটার মৌসুমে তাকে মজুর হিসেবে রেখেছিলে,
সেই ছেলেটাকে বেদম গালি দিচ্ছিল সে।
পড়াশুনা শেষ করে এখন আরামে অধ্যাপনা করছে কলেজে
সাইলাস বলেছে, ওকে নাকি আবার লাগাতে হবে কাজে
দুজনে নাকি খুবই মিল হবে, মিলেমিশে ওরা
খামারটাকে ঝকঝকে করে সাজাবে আবার।

এক কথার সাথে অন্য কথার কোনো মিল নেই,
বার বার কেমন তালগোল পাকাচ্ছিল সাইলাস ।
পড়াশুনার বিষয়ে খুবই রাগ সাইলাসের কিন্তু
উইলসনেক সে বড়ো ভালোবাসে। মনে আছে
জুলাই মাসের সেই প্রচণ্ড খরায় গনগনে সূর্যের
আলোর নীচে দুজনে কেবলই তর্ক জুড়ে দিত?
মনে আছে, সাইলাস গাড়ির ওপরে গাদা

করত খড় আর হ্যারল্ড আঁটিগুলো তুলত ওপরে?
আর হ্যাঁ, তুমুল সেই হৈ-হল্লা থেকে বারবারই আমি থেকেছি দূরে।
সেইসব দিনগুলো আজ তাকে স্বপ্নের মতোই করছে জ্বালাতন।
এমন যে ঘটবে তা আর কে জানত বলো?
কীভাবে যে কত স্মৃতি মনের মাঝে রয়ে যায়।

হ্যারন্ডের কলেজ জীবনের উজ্জ্বল তারুণ্য আর প্রত্যয়
তাকে কেবলই জ্বালাতন করত। এতকাল পরে আজও দা
তার মনে জাগে কত না যুক্তি আর কথার মারপ্যাচ
যেগুলো খুব সহজেই একদা নিয়ে যেত তর্কে,
হৃদয়ে মমতা জাগে। সঠিক জবাবটা খুব দেরিতে
মনে পড়লে, নিজের কাছে নিজেরই কেমন লাগে
আমিও তা বুঝতে পারি না। তার হৃদয়ে মাখা
মাখি হয়ে আছে হ্যারল্ড উইলসন আর লাতিন,
জানি সে আমার কাছে জানতে চায় হ্যারন্ডের

উক্তি সম্পর্কে আমার কী মতামত
সে যে বলে, লাতিন পাঠ করে সে বেহালার সুর
তোলার মতো-এটা কি কোনো যুক্তির কথা?
হেজেল গাছের কাঁটা থেকে সাইলাস ঝরাতে পারে পানি
এটা ছেলেটিকে বিশ্বাস করানো সম্ভব হয়নি কখনো,
বিদ্যালয়ে জ্ঞান অর্জন করে শেষ ফল হলো এটাই।

এ ধরনের বুলিই বার বার আউড়ে গেছে সে, মোটের
ওপর কখনো সুযোগ পেলে ছেলেটাকে শেখাবে
কী করে তৈরি করতে হয় সুন্দর পরিপার্টি সব খড়ের গাদা-ক
আমি জানি এই কর্মটিতেই সাইলাস বেশ পাকা।
প্রতিটি খড়ের আঁটি বাঁধে সে নিপুণ দক্ষতায়
গুছিয়ে নম্বর লাগিয়ে রাখার কাজে ওর নেই কোনো জুড়ি।

প্রয়োজনে পুরো গাদা উলটপালট করে কেন
চিহ্নিত আঁটিটা নামিয়ে আনতে পারে সহজেই
আসলেই সাইলাস ও কর্মটি ভালো পারে, বিশাল
পাখির বাসার মতোই আঁটি বাঁধা সব খড় বের করে।

যখন সে খড় ওপরে উঠায়, তখন মোটেই মনে
হয় না কষ্ট হচ্ছে তার কিংবা পরিশ্রম।
সাইলাস মনে করে, উইলসনকে কাজটা শেখাতে
পারলে, হয়ত এ ছেলেটা পৃথিবীতে কারো না কারো
কাজে লাগতে পারত।
ছেলেরা সবাই পুঁথির পাতায় ডুবে আছে, এ দৃশ্যটা
একেবারেই অপছন্দ ছিল তার। আহা! বেচারি

সাইলাস, ঘরের খেয়ে পরের বেগার খাটতেই সময়টা পার হলো তার
ওর পেছনে কিছুই নেই অহঙ্কার করার মতো,
সামনেও নেই কিছু যা নিয়ে থাকা যায় আশায় করে
বর্তমান আর অতীত এখানে একই ব্যাপার।
পাহাড়ের দিকে পুরো আকাশটাকে নিয়ে
পশ্চিম দিগন্ত ঘেঁষে হেলে পড়ে এক টুকরো চাঁদ। শিগ্ধ আলো ছড়াল মেরির কোলে
আর তা দেখে মেরি তার আঁচল বিছালো।

আর হাত বাড়াল রজনিগন্ধা পানে
সেতারের তারের মতোই রাতের শিশিরে ভেজা
বোঁটাগুলো শক্ত হয়েছে খুবই।
সেতারে গোপন একটা মধুর সুর তুলেছে শুধুই সে
তার পাশেই ওয়ারেন আঁধার রাতে তাকে ঘিরে নামে
মায়াময় প্রহেলিকা, ডাকল সে, ওয়ারেন শোন,
সে এ বাড়িতে এসেছে ইহধাম ত্যাগ করতে
এবার তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না সে।

বাড়ি, ব্যঙ্গ করে বলল ওয়ারেন।
হ্যাঁ, বাড়ি, এ ছাড়া কী বলবে তুমি?
বাড়ি বলতে তুমি কী বোঝ, তার ওপরেই সব করছে নির্ভর।
সে আমাদের কোনো নিকট জন নয়,
সেই যে সেবার জঙ্গল থেকে একটা অচেনা কুকুর

এসে এ বাড়িতে নিয়েছিল আশ্রয়, সাইলাস
তার চেয়ে খুব বড়ো কিছু নয়।
বাড়ি তো তাকেই বলা যায়, যখন যেখানেই তুমি যাবে
সেখানে সবাই তোমাকে টানবে কাছে
আমি বুঝি বাড়ি এমনই বিষয়, যার তরে
কোনো যোগ্যতার নেই কোনো প্রয়োজন।

সামনে এগিয়ে কয়েক পা হেঁটে একটা কাঠের লাঠি
হাতে তুলে ওয়াবেন সেটি ভেঙে ছুঁড়ে দিল দূরে।
তুমি কি ভাবো নিজের ভায়ের চেয়ে বেশি আপন ভাবে
আমাদের এই সাইলাস? মাত্র তেরে মাইল হাঁটলেই পথের
মোড়ে তার ভায়ের বাড়ি।

অনেক হেঁটেছে আজ সাইলাস, ওখানে যায়নি কেন বলতো?
শুনেছি তার ভাই খুবই মান্যগণ্য বড়লোক
ব্যাংক পরিচালনা করে।
এসব আমাদের কাছে বলেনি কখনো।
তবু সকল কিছুই জানতাম মোরা।

আমার মনে হয়, ওর ভায়ের এখন কিছুটা সাহায্য
করা উচিত ওকে, প্রয়োজনে যাতে তেমনটা হয়
সেদিকে নজর রাখব আমি, আর তার ভায়েরই
উচিত ওকে তার কাছে নিয়ে যাওয়া
এমন আন্তরিক ইচ্ছে হয়ত বা তার আছে,
যতটা আমরা বাইরে থেকে মন্দ জানি
ভেতরে হয়ত এতটা মন্দ সে নয়।

তবে রেগো না সাইলাসের পরে
যদি তার ভায়ের সাহায্যের আশা করত সে
যদি তার সাথে নিজেকে মেলানোর
ইচ্ছে থাকত তার, তাহলে এখা
আর চুপচাপ থাকত না পড়ে
আমি তো আশ্চর্য হয়ে ভাবি
কী ঘটেছে দু'ভায়ের মাঝে।

এবার তাহলে শোনো
সাইলাস যেমনটি আছে তেমনি থাকুক
তাতে আমাদের কিছু যায় আসে নাকো।
কিন্তু ওকে কেউ নিকটজন আর আত্মীয়ই বলুক
সেটা সে মানতে চায় না মোটেই
কোনো খারাপ কর্ম করেনি সে কখনো
অন্য সবার চেয়ে এমনকি খারাপ সে বলো তো?

অকর্মার ঢেঁকি সে, তাই বলে ভাইকে সে কোনো দিন
তোষামোদ করে নিজেকে খাটো করার মতো Two
মানুষই নয় সাইলাস ।
মনে হয় না কারো মনে সে কখনো করেছে আঘাত
না করেনি, তবে কঠিন চেয়ারের গায়ে হেলান
দিয়ে মাথাটা এলিয়ে ওকে ঘুমাতে দেখে
বড়োই বেদনা জেগেছে মনে।

নিতে চাইলাম ওকে ঘরে কিন্তু যাবে না সে।
এবার তুমি নিজেই যাও দেখ কিছু হয় কি না,
রাতের বিছানা তো সেখানেই করা আছে।
তুমি অবাক হবে অবশ্যই
খাটাখাটনির দিন ফুরিয়েছে তার
তবু আমি এত তাড়াতাড়ি তা বলব না।

আমি বলব না, তুমি নিজেই গিয়ে দেখো,
কিন্তু ওয়ারেন মনে রেখো, তোমার জমিতে
নিড়ানি দিতেই এসেছে সে, এই তার সংকল্প।
সাবধান এটা নিয়ে তাকে উপহাস কোরো না।
কিছু হয়ত বলবে না সে, আবার বলতেও তো পারে।

এখানে বসে বসে দেখব ভেসে যাওয়া টুকরো মেঘ
চাঁদের গায়ে এসে লাগে নাকি পাশ দিয়ে চলে যায়।
চাঁদের গায়ে লাগল না মেঘ।
এরপর সেখানে মাত্র তিনজন-চাঁদ, এক টুকরো
রুপালি মেঘ আর সে নিজে, যেন অপরূপ
কোনো গুঞ্জনে মুখর।

মেরির মনে হলো, খুব দ্রুত ফিরে এল ওয়ারেন
নীরবে বসল মেরির পাশে, নিজের হাতে
তুলে নিল মেরির হাত, যেন কীসের প্রতীক্ষায়
রত সে।
আকুল কণ্ঠে জিজ্ঞাসার সুরে ডাকল মেরি, ওয়ারেন!
উত্তরে বলল, মারা গেছে সে।

কবিতার সারমর্ম: ওয়ারেন ও ম্যারী দম্পতির খামার শ্রমিক সিলাস কবিতাটির কেন্দ্রীয় চরিত্র। ওয়ারেন তার প্রতি রূঢ়, সিলাসকে মনে করে কর্তব্য অসচেতন, অলস। ম্যারী তার প্রতি দয়ার্দ্র। ওয়ারেন তাকে তাড়িয়েই দেবে। সিলাস অত্যন্ত স্বাধীনচেতা, আত্মমর্যাদাশীল। সে ওয়ারেন দম্পতির খামারেই স্বাধীনভাবে কাজ করবে কোনো আত্মীয়ের আশ্রয়ী হবে না, কারো শরণাপন্ন হবে না।

আত্মসম্মান সচেতন সিলাসকে নিয়েই ওয়ারেন ও ম্যারী দম্পতির টানাপড়েন মানুষের আত্মমর্যাদাবোধ, কবিতাটির প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়। নিজ চরিত্র বৈশিষ্ট্যে অটল সিলাস, ওয়ারেন দম্পতির অজান্তে মারা যায় শেষ পর্যন্ত কিন্তু তবুও সে কারো আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী হয় না। দৃঢ়চেতা একজন মানুষ সিলাস।
মেন্‌ডিং ওয়োল

Mending Wall

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
Boulders বৃহৎ গোলাকৃতির পাথরখণ্ড, যেগুলো দ্বারা পানির স্রোতকে বন্ধ কিংবা বাধাগ্রস্ত করা হয়।
Abreast : খুব কাছাকাছি, ঘেঁষাঘেঁষি।
Yelping : তীক্ষ্ণ স্বরে চিৎকার করা।
Fences : পশুপাখির কবল থেকে ঝোপঝাড় কিংবা বাগান রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষা দেয়াল কিংবা বেড়া

offence : যেকোনো কারণে অসন্তুষ্টি প্রকাশ।
Something : এ শব্দটি দ্বারা প্রকৃতির অদৃশ্য শক্তির কথা বোঝানো হয়েছে।
The frozen ground swell : বরফ পুরু হয়ে জমে মাটি ঢেকে গেছে আর দেয়ালটা পড়ে গেছে।

And spills................... sun: দেয়ালের পাথরগুলোর জোড়া অংশ রোদের তাপে প্রসারিত হয়ে শেষে টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছে।
Two can... abreast : এতটাই ফাঁক তৈরি হয়েছে যে দু'জন মানুষ তার মধ্য দিয়ে সহজেই হেঁটে পার হওয়া যায়।
The line : যে সীমারেখা মাঠ থেকে বাগানকে আলাদা করেছে।

To each... to each : প্রতিবেশী সারা দিন কাটিয়েছে পাথরগুলো যথাস্থানে স্থাপন করার কাজে।
And some... balls: পাথরগুলো একই আকৃতির নয়। কোনোটি গোলাকার, কোনোটি আবার চারকোনা, এটাই বোঝানো হয়েছে।
He is all pine : তার সীমানায় শুধু পাইন গাছ এটাই বলা হয়েছে।
The cone: পাইন ফলের খোসা।

Is not it ... cow : বেড়াটা অবশ্যই দরকারি, কারণ গরু কিংবা কাক কিংবা অন্য কোনো জীবজন্তু ক্ষতি করতে পারে।
Like to ... offence দেয়ালটা যদি মেরামত না করা হয় তাহলে খুবই ক্ষতির সম্ভাবনা।
He moves in darkness: এখানে অন্ধকারকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে অজ্ঞানতা মূর্খতার কথা বলা হয়েছে।

সরল অনুবাদ:

দেয়ালটাকে ভালো না বাসার কিছুটা কারণ আছে
বরফের স্তূপ জমে নীচের ভূমিটা হয়েছে প্রসার
আর দেয়াল শীর্ষের শিলাখণ্ড থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে রৌদ্রালোক,
তৈরি হয়েছে ফাটল দুজনে পাশাপাশি চলার মতন
এটা হয়ত কোনো শিকারি কিংবা অন্য কারো কাজ
এবার আমি এগিয়ে এলাম এটা করতে সংস্কার
যেখানের পাথর সেখানে রাখেনি ওরা

ওরা রেখেছে খরগোশের লুকানোর জায়গা
আর ফাঁকাটা তৈরি করেছে ঘেউ ঘেউ করা কুকুরের তরে
কেউ দেখেনি আর কেউ শুনেনি এ কর্মটা করতে
বসন্তকালে সংস্কারের কালে এটা নজরে আসে মোর
প্রতীক্ষায় ছিলাম মোর প্রতিবেশীর, বাস করে যে দূর পাহাড়ে;
একদিন দুজনে মিলিত হয়ে একমত হলাম
আবার তুললাম দেয়াল দুজনের মাঝে একদা যা তুলেছিলাম।

তুললাম দুজনের মাঝে বাধার দেয়াল,
তুলে দিলাম ফের পাথরগুলো সঠিক জায়গায়,
কিছুটা লাগালাম ঢেলাপিণ্ডের মতো কিছুটা শীর্ষদেশের মতো
কর্ম সমাপন করলাম মোরা মনোযোগসহ পালা করে
স্থির রইলে সেখানে তুমি, যতক্ষণ না মোরা পিছু ফিরলাম
অবিরত মোরা ঘষলাম আঙুল করতে এটা মসৃণ
এটা যেন এক ধরনের বহিরাঙ্গনের খেলা,

দেয়ালের অপর পাশের জন এপাশে খুব কমই আসে
দেয়ালের মোটেই প্রয়োজন ছিল না মোদের এই স্থানে
ওপাশে তার পাইনের বন আমার এ পাশে আপেল বাগিচা।
আমার আপেল গাছ দেয়াল পেরিয়ে যাবে না ওপাশে
আর খাবে না কখনো পাইন গাছের খোসা, বললাম তাকে
সে শুধু বলে সুন্দর বেড়া তৈরি করে সুন্দর প্রতিবেশী।

এটাই আমার জন্য হবে অমঙ্গলকর, অবাক আমি
যদি এ ধারণাটা স্থাপন করতে পারি তার মস্তিষ্কে
তাহলে কেমন করে সে তৈরি করবে সুন্দর প্রতিবেশী, তাই নয় কি?
সেখানে গরুর পাল কোথায়? এখানে সেখানে কোথাও নেই।
দেয়াল তৈরির আগে তাকে তো কিছুই বলিনি আমি
কেন আমি দেয়াল ভাঙি আর দেয়াল গড়ি

আর কাদের জন্য আমি বেছে নিয়েছিলাম সীমালঙ্ঘনের অপরাধ
দেয়ালটাকে না পছন্দ করার সেখানে কিছু তো আছে,
আমি চাতুর্যের সাথে বলি এটার পতন ঘটুক এটাই চাই,
আসলে এটা মোটেই চাতুরি নয়
সে বলে এটা তার নিজেরই জন্য, অথচ সেখানে দেখি
পাথর টুকরোগুলো একের পর এক সাজানো হয়েছে ওপরে
প্রতিটি হাত যেন প্রস্তর যুগের আদিম হস্তযুগল।

আমার ধারণা সে আবর্তিত হচ্ছে অন্ধকারে,
শুধু অরণ্যে নয়, বৃক্ষদের ছায়ার আড়ালে।
সে কখনো ফিরবে না তার পিতৃপুরুষের বাণীর কাছে কাটার
আর সে যা ভাবে তাই তার কাছে সর্বাঙ্গ সুন্দর
সে আবার বলে, সুন্দর বেড়াই গড়ে তোলে সুপ্রতিবেশী।

কবিতার সারমর্ম: মানুষে মানুষে বিভেদই মানুষের ঐক্য সূত্র। বর্ণে, ধর্মে, দেশে মানুষ ভিন্ন আর এই ভিন্নতাই মানুষে মানুষে সামগ্রিক ঐক্য গড়ে তোলে। বিভেদের দেয়াল তাই একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয়। কবি তাঁর প্রতিবেশীর সঙ্গে দেয়ালটি প্রথমে অবহেলাই করেন বিভেদ আশঙ্কায়। পরে দেয়ালটি মেরামত করেন এই সিদ্ধান্তে 'সুন্দর দেয়ালই গড়ে তোলে সুপ্রতিবেশী'।

কবির দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক কারণেই স্থায়ী হয়। এটিই বাস্তব, এটিই সত্য। মানুষ যেমন বিচ্ছিন্ন, তেমনি ঐক্যবদ্ধ। বিচ্ছিন্নতার মধ্যে ঐক্য, মানব সমাজ এবং গোটা মানব সভ্যতার জন্য সর্বাপেক্ষা গ্রাহ্য সত্য।

দা রোড্‌ নট্ টেইকান
The Road Not Taken

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
It was grassy বোঝানো হয়েছে। wear : পায়ের তলায় সবুজ ঈ ঘাসের শয্যা প পাতা এটাই
The passing there পথিকেরা যে পথ ধরে চলে যাবে।
Some where... hence : কবি এখানে ভবিষ্যৎ সময়কে চিহ্নিত করে এটা বলেছেন।
And that... difference: এখানে কবির যেকোনো একটি পথ বাছাই এবং অন্য পাশের পথটির পার্থক্য বিচার করা হয়েছে।

সরল অনুবাদ:

দুটি পথ ভাগ হয়ে চলে গেছে হলুদ জঙ্গলে,
আহা! আমি পারব না দুটোতেই যেতে
একাকী পথিক আমি ভাবি জঙ্গলে দাঁড়িয়ে
দেখি একটি কোথায় কত দূর গেছে চলে
দেখি তাই আনত নয়ন দুটি মেলে

এরপর যদি অন্যটি ধরি, সেও ভালো
হয়ত সেটার দাবি বেশি এর তুলনায়
কারণ সেটিতে সবুজ ঘাসের মখমল পাতা
যদিও সেটাতে চলতে গেলেই একই রকম শেষে
অন্য পথের মতোই সেটিও হবে এতে নেই সন্দেহ;

আর সেদিন সকালে দুটি পথের পরে
ছিল শুকনো পাতা ছাওয়া, পড়েনি কারো পদচিহ্ন
প্রথমটি রাখি আরেক দিনের তরে
অথচ একটি পথ মিশেছে অন্য পথে
জানি ফিরব কি না মনে ছিল সংশয়।

কোথাও হয়ত অনেক দিনের পরে কোনো দিন
দীর্ঘশ্বাস ফেলে এ কথাটি বলব হঠাৎ
জঙ্গলে চলে গেছে দুটি পথ, আর
আমি আমি ধরি সেই পথ যে পথে পদছাপ খুব নেই:
আর এতেই হয়েছে এইটুকু যা তফাৎ।

কবিতার সারমর্ম: বনের গভীরে হারিয়ে গেছে দুটি পথ। দুটি পথই ঝরা পাতায় আবৃত, সমান আকর্ষণীয়, দুটি পথই শেষ হয়েছে ভিন্ন প্রান্তে। কবির মনে দ্বন্দ্ব কোন পথটি বেছে নেবেন। পথ ও মত নির্বাচনে সংশয় ফ্রস্টের রচনা রীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই সংশয়ের প্রতিফলনই বর্তমান কবিতাটি। দুটি পথের মধ্যে একটি ধরে কবি এগিয়ে গেলেন, অন্যটি রেখে দিলেন আরেক দিনের জন্য কিন্তু সে পথটির আকর্ষণও কবি ভুলতে পারলেন না। চিরকালীন মানবীয় দ্বন্দ্বের প্রকাশই কবিতাটির প্রতি ছত্রে প্রবহমান।

বাচেস্
Birches

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
Enamel : সাদা বরফের রুপালি দ্যুতি।
Bracken : অযত্নে বেড়ে ওঠা বুনো ঝোপ ।
Arching : নমিত হওয়া, নতমুখী।
When I see... to stay : নতমুখী গাছগুলো দেখে কবি ভাবছেন কোনো এক দুষ্ট বালক যেন গাছগুলো টেনে নত করেছে।

They click... rises : যখন বাতাস বহে তখন গাছগুলো নত হয়, আবার
বাতাস থেমে গেলে উঠে দাঁড়ায়।
Soon... shells : বাচগাছগুলো বরফে ঢেকে যায় আবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠেদাঁড়ায় সেগুলো, তখন সূর্যালোক পড়ে তাদের শরীরে।
Such heap ... fallen : তুষারপাতকে কবি এখনে কাচের গম্বুজ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ার সাথে তুলনা করেছেন।

one by... to conquer : কবি এখানে নিজেই নিজেকে চিত্রিত করেছেন। একটি বালক যেমন বার্চ বৃক্ষের শাখা নিয়ে খেলা করে কবি যেন নিজেও সেই বালকের মতোই, যে একাকী খেলা করে। তিনি ভাবনায় আরোহণ করেন বৃক্ষে, আবার নামেন নীচে, ছোট্ট একটি বালকের মতোই।
He learn brim : একজন ছোট বালকের মতোই কবিও যেন শিখে নিয়েছেন বৃক্ষে আরোহণ করা বিষয়টি, সমতা বজায় রেখে উঠে গেছেন বার্চের মগডালে।

And life... cobwebs: পথবিহীন অরণ্য, এটা যেন মানব জীবনেরই চলার পথের এক গোলক ধাঁধা, জীবন পথ চলতে পথিক যেন পথিমধ্যে বিহ্বল হয়ে পথ হারায় চলার পথের অন্তহীন গোলক ধাঁধায়, এটা যেন ঠিক তেমনি একটি বিষয়।
I had like ... heaven : কবিতার এই পক্তিটিতে কবি বার্চবৃক্ষের আরোহণ করে স্বর্গের কাছাকাছি চলে যাবেন এমন প্রতীক ব্যবহার করেছেন।

সরল অনুবাদ:

যখনি তাকিয়ে দেখি দু'পাশের নতমুখী বার্চ গাছগুলো
সোজা চলে গেছে পথ বরাবর আঁধার বৃক্ষসারি,
ভাবতে ভালোবাসি দোলনায় দুলছে সেথায় বালকেরা
কিন্তু দোলনার দুলুনিতে নত নয়, নমিত করেছে
তাদের তুষারের ঝোড়ো হাওয়া, অবশ্যই দেখবে
তাদের রৌদ্রকরোজ্জ্বল ভোরে তুষারের ভারে নত

বৃষ্টি শেষে আবার তারা পাখা ঝাড়া দেবে,
জেগে উঠবে হাওয়া, বিচিত্র বর্ণে বর্ণিল হবে
আলোড়নে তারা এলোমেলো হবে, ছড়াবে রুপালি দ্যুতি
সূর্যের উষ্ণতা তাদের মাঝে তৈরি করবে কাঁচের খণ্ড
কঠিন বরফ চূর্ণ হয়ে বইবে তুষার স্রোতধারা
কাঁচসদৃশ বরফের পাঁজা ভেঙে দ্রুত হবে ধাবমান
ভাববে তুমি আকাশের মাঝের গম্বুজ পড়েছে ভেঙে।

টেনে নিয়ে যাবে তারা বিবর্ণ সব জঞ্জালের স্তূপ
দেখে মনে হতো ভাঙবে না তারা যদিও ছিল নতমুখী,
সঠিক ছিল না তারা সেহেতু দৈর্ঘ্যের কারণেই নতমুখী
দেখবে তুমি তারা যেন অরণ্যে তৈরি করেছে ধনুকাকৃতির খিলান
বছর বছর পার হয়, লতা পল্লব তাদের মাটি ছোঁয়
যেন কোনো বালিকা হাঁটুতে হাত রেখে চুলগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে ঊর্ধ্বে
যেন তাদের মাথার চুল শুকাতে দিয়েছে রৌদ্রে
কিন্তু আমি বলতে চাই, যখন সত্যিটা ভেঙে যায়

সকল বিষয় সকল কিছু তুষারঝড়ে,
আমি বলি কিছু বালক তাদের টেনে করেছে নতমুখী
তারপর চলে গেছে তারা তাদের হারানো গরু খুঁজতে
কিছু বালক শহরে বসে শুধু বেস বল খেলা শেখে
সেটা তো শুধুই খেলা, নিজের বিষয়ে তারা কিছু কি জেনেছে,
গ্রীষ্মে ও শীতে একাকীই খেলবে সে।

একের পর এক নমিত করবে তার পিতার রোপিত বৃক্ষ
উঠবে আর নীচে নামবে বার বার
যতক্ষণ না সে তার একগুঁয়েমি সরাবে অন্য দিকে,
কেউ তাকে পারবে না নিস্তেজ করতে
সরাতে তার একগুঁয়েমি থেকে, সে সেখানে সবই শিখেছে
সে শিখেছে কেউ তাকে দ্রুত সরাতে পারবে না দূরে
আর সরাতে সমর্থ হবে না গাছগুলোকে দূরে

পরিচ্ছন্ন মৃত্তিকায় সর্বদা ভারসাম্য রক্ষা করেছে সে
আরোহণ করেছে উঁচু ডালে খুব সতর্কতায় PICT আছেন কোনো
ঠিক একই ব্যথাভার যা তুমি পেয়েছ পূর্ণ পেয়ালায়
ঊর্ধ্বে শেষ প্রন্তে আরো ঊর্ধ্বে একেবারে শীর্ষে
পদক্ষেপ ফেলে সীমা ছাড়িয়ে শোঁ শোঁ গর্জনে
চলার পথকে লাথি মেরে ছুঁড়ে দেয় বাতাসে, মৃত্তিকায়

আমি কি একদা বার্চ বৃক্ষের দোলায় দুলেছিলাম
ভাবনায় আমি নিজেকে আরো পিছিয়ে নিয়ে যাই
যখন সকলি নিয়েছি খুবই সহজ করে
জীবনটা ছিল গভীর অরণ্যে পথ হারা।
যেখানে তোমার মুখচ্ছবি ছিল উজ্জ্বল আর কোমল সুতোর মতো স্পন্দিত
ভেঙে গেছে তা, একটি নয়ন শুধু কাঁদে।

প্রচণ্ড বেগে বের হবো ডালপালা খুলে
আর কিছুকালের জন্য পালাব পৃথিবী হতে
এবং আসব আবার ফিরে শুরু হবে নতুন জীবন।
আমার এ নিয়তিকে ভুল বুঝ না স্বেচ্ছাচার বলে
কী মোর ইচ্ছে সেটা কিছুটা গ্রহণ করো তারপর ঠেলে দিও দূরে
ফিরব না। পৃথিবীটা ভালোবাসারই যোগ্য স্থান;

আমি জানি না সেই গ্রহণযোগ্য স্থানটি কোথায়
আমি ভালোবাসি বার্চ বৃক্ষে আরোহণ করতে
আর কালো ডালে চড়তে, আরো ঊর্ধ্বে তুষারশুভ্র তুষার ধবল কাণ্ডে
স্বর্গের পানে, যদিও বৃক্ষ আমাকে পারবে না সেখানে নিতে
কিন্তু নিমজ্জিত হবো তার বৃক্ষশাখায় আবার নামব নীচে
সেই ভালো একসাথে যাওয়া আর ফিরে আসা
একজন নিজেকে সমর্পিত করবে বার্চ বৃক্ষের দোলনায় ।

কবিতার সারমর্ম: নিসর্গ প্রেমী কবি, দোদুল্যমান বাচ বৃক্ষ সারিকে দেখেন গভীর অভিনিবেশে। তাঁর 520 মনে হয়, কোনো দুষ্ট বালক দল যেন বাচ সারিকে দোলাচ্ছে, ডানে বাঁয়ে। বরফ ঝরে esugnot triatl পড়ছে বাচ শাখা থেকে, সূর্যের সাত রং পিছলে পড়ছে বাচ গাছের শাখার বরফ থেকে। বরফ গলে বিন্দু বিন্দু জল ঝরছে মাটিতে। এমন শোভায় ভরা পৃথিবী ছেড়ে কবি যেতে চান না। বার বার ফিরে আসতে চান এমন সুন্দর ভুবনে।

ট্রী আট মাই উইন্‌ডো
Tree at My window

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
sash n জানালার শার্সি ।
curtain n পর্দা।
vague adj অস্পষ্ট।
diffuse v বিস্তৃত হওয়া।
light tongues n বাতাসে পাতার শব্দ।
tossed adj হঠাৎ পড়া, নীরব ।
profound adj গভীর ।
swept v কুড়িয়ে নেয়া, হারিয়ে যাওয়া। concerned adj সংশ্লিষ্ট, সংযুক্ত।
inner adj অন্তরের।
she put ... together ভাগ্যদেবীই কবি ও তরুকে একসাথে বেঁধেছেন।

সরল অনুবাদ:

বাতায়ন পাশে তরুটি আমার, বন্ধু আমার ওহে,
নিশীথে যদিবা বন্ধ বাতায়ন, মম চিত্তে তব আবাসন;
গভীর সখ্য তোমাতে আমাতে, কভু বিচ্ছেদ নাহি দোঁহে
তরু আর আমি বন্ধু সদা, রুদ্ধ যদিবা রয় বাতায়ন।

তন্দ্রাঘোরে স্বপ্ন-বিভোর মন, যখন মেঘের সঙ্গী,
তখনো মনে জাগে তব ছবি, তব মনোহর ভঙ্গি,
হাওয়ার সাথে তোমার পাতার মুখরতা
শোনায় আমায় কত না কথকতা।

বন্ধু আমার, আমায় ভুলতে তোমায় দেখেছি অনেকবার,
গভীর ঘুমেও আমি ভুলিনি তোমায় কোনোবার,
এমন যদি হতো, সবই মোর ফুরাত
সবই নিঃশেষ হয়ে যেত।

ভাগ্য যে তোমায় আমায় একই সুতে বাঁধে
বুঝিবা তার আপন মনের সাধে
তোমার শিরে হাওয়া করে খেলা, বেলা কি অবেলা
চেতনা আমার, আমায় নিয়ে খেলে অবারণ খেলা।

কবিতার সারমর্ম: এড়িয়ে রাজি
প্রকৃতির সঙ্গে কবির ঘনিষ্ঠ সংযোগ, কভিাটির প্রধান বিষয়। কবির জানালার পাশের গাছটির পাতায় পাতায় বাতাসের খেলা কবির চেতন, অবচেতন মন জুড়ে থাকে। গাছটি দৃশ্য হয়ে বা অদৃশ্য হয়েও কবি মনে তার অস্তিত্ব রাখে। কবি তাই অনুপল গাছটিকে চেতনায় ধারণ করেন।

আকোয়েইনটেড্ উইদ্ দি নাইট ম
Acquainted with the Night

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
skimming v তরল বস্তুর উপর থেকে কিছু সরিয়ে দেয়া, সন্তর্পণে হাঁটা।
trough n পাত্র।
hoary adj পাকা চুলের বৃদ্ধ।
magnified adj কোনো কিছুর আকার বহুগুণ বাড়ানো ।
fleck n কণা।
russet adj বাদামি রং।

সরল অনুবাদ:

রাত্রির সাথে সুপরিচিত আমি একজন।
বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটেছি—আবারো হেঁটেছি।
শহরের শেষ আলোটি পেরিয়ে হেঁটেছি অনেকক্ষণ ।

দেখেছি দরিদ্রতম গলিটি, দিয়ে একাগ্র মন
পাহারাদারকে কাটিয়ে গেছি
চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি, ভেবেছি ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।

চলার গতি নিঃশব্দে থামিয়েছি
দূরে বহু দূরে শুনেছি ভাঙা কান্নার রব
দূরের বাড়িগুলোতে কান্না শুনেছি।

ফিরে যাইনি তবু, করিনি চলা ক্ষান্ত
অপার্থিব উচ্চতায় দেখেছি।
প্রহর বাহিনী তারা এক জ্বলন্ত

ঘোষণা করল তারাটি প্রহর, ঠিক নয় বেঠিকও নয়
আমি একজন, রাত্রির সাথে আমার এভাবেই পরিচয়।

কবিতার সারমর্ম: রাত্রির রূপ আবিষ্কারের আশায় কবি একাকী ঘুরে বেড়ান অলিতে গলিতে এমনকি বৃষ্টিতেও পাহারাদারের চোখ এড়িয়ে। রাত্রিকে গভীর করে দেখা, রাত্রির আঁধারে আত্মবোধে উদ্দীপ্ত হওয়া কবির অভীস্পা

আ:ফটা(র্) অ্যাপ্‌ল্ পিকি্ঙ
After Apple-Picking

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
skimming v তরল বস্তুর ওপর থেকে কিছু সরিয়ে দেয়া, সন্তর্পণে হাঁটা।
trough n পাত্র।
hoary adj পাকা চুলের বৃদ্ধ ।
magnified adj কোনো কিছুর আকার বহুগুণ বাড়ানো।
fleck n কপা
Borusset adj বাদামি রং।
sway v দোলা।

cellar on মাটির তলার ঘর।
bin n কিছু রাখার ঢাকনাওয়ালা পাত্র।
rumbling adj বিকট শব্দ করা।
brusied adj আঘাতপ্রাপ্ত, ক্ষত হওয়া, ছিঁড়ে যাওয়া।
spiked v ধারালো কিছুতে খোঁচা খাওয়া।
stubble / ফসল কাটার পরের অবশিষ্টাংশ।
woodchuck n কাঠের তৈরি কোনো কিছুকে যন্ত্রের সাহায্যে আকার দেয়া হয়েছে এমন।
desire v ইচ্ছা করা।

সরল অনুবাদ:

দু'পেয়ে মইটি আমার ঠেক দিয়ে এক গাছে
তখনো স্বৰ্গ পানে চেয়ে
এবং ঝুড়িটি ভরিনি তখনো আপেল দিয়ে
দুই বা তিনটে আপেল পড়ে ঝুড়ির পাশে
কোন ডাল থেকে আপেল পাড়িনি আগে কখনো
আপেল পাড়তে পাকা হইনি এখনো।

রাত্রি তখনো শীতের ঘুমে কাতর
আপেলের মিষ্টি গন্ধে : আমারও তন্দ্রা ভার।
আনাড়ি ভাবটা তাড়াতে চেয়েছি বার বার
জানালার কাঁচে দেখে কিছু, হচ্ছিল যেন মনে
পান-পাত্র থেকে কিছু একটা যেন সরিয়েছি সঙ্গোপনে
হঠাৎ করে মইটি পড়ল ধপাস, ধূসর শনের বে
ঘোর কাটতেই দেখি মইটি ভেড়ে পড়ে।

লাগেনি তেমন ব্যথা
ঘুমের ঘোরে মইটি ভাঙলাম এই হলো গে, কথা
তবে বলতে পারি ঠিক তা
স্বপ্ন আমার যাচ্ছিল কী গড়ে।
বড়ো বড়ো সব আপেল স্বপ্নে আসে যায়,
তারপরে সব স্বপ্ন শেষ,
দেখছিলাম স্বপ্ন আমার লালচে ধূলিতে গড়ায়।

পায়ের ভেতর ব্যথা নিয়ে
নিচ্ছিলাম মইটি বয়ে
ডালগুলো বেঁকে যেতেই
মইটি যেন উঠল একটু দুলেই
মাটির তলার ঘরটি থেকে
আপেল মাড়াইর শব্দ
শুনছি কখন থেকে।

অনেক, অনেক হয়েছে
আমার আপেল পাড়া : ভীষণ ক্লান্ত হয়েছি।
কত্তো আপেল পেড়েছি, যত্তো আমি চেয়েছি।
হাজার হাজার আপেল, কী চমৎকার দেখার মতো!
ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে জাগে সাবধানে পড়ে যেন না যায়।

যেগুলো পড়ে যায়
মাটিতে,
কিছু ক্ষতি নেই খ্যাতলে না গেলে খোঁচা না খেলে
সোজা চলে যাবে মাড়াই কলে
থ্যাতলানো খোঁচা খাওয়াগুলো বাদে।
সমস্যাটা তাহলে কি

আমার ঘুমটা বুঝি!
কেটে যায়নি কি,
মইটাই বলতে পারবে ভালো, ওর মতোই কি তা হলো, ত
সেই যে লম্বা ঘুম যখন তা পড়ে গেল
নাকি সব দোষ আমার ঘুমেরই হলো।

কবিতার সারমর্ম: লঘু রসাত্মক ভঙ্গিতে কবি একদা তার আপেল পাড়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন কবিতাটিতে। আপেল পাড়ায় অনভিজ্ঞ কবি একটা মই দিয়ে গাছে উঠবার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু পা ফসকে নীচে পড়ে গেলেন। মইটিও পড়ে ভেঙে গেল। কবি তেমন ব্যথা না পেলেও মই ডাঙার অভিজ্ঞতা নিয়েই কবির আপেল পাড়ার অভিযান শেষ হলো। অথচ, তিনি ভেবেছিলেন অনেক অনেক টস টসে আপেল পেড়ে সেগুলোকে আপেল মাড়াই ঘরে নিয়ে যাবেন কিন্তু তন্দ্রাঘোরে গাছ থেকে পড়েগিয়ে কবির সে স্বপ্ন, অনেক বাসনার মতো অপূর্ণই রয়ে গেল। কবি নিজের ব্যর্থতাকে নিজেই ব্যঙ্গ করে। জিজ্ঞাসা করেন তাঁর সে আপেল পাড়ার ব্যর্থতা কি তার দোষে, নাকি তার ঘুম ঘোরের কারণে।


Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems Translations and summaries of Robert Frost's poems 

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!
close