Summary of Robert Browning's Poems The Patriot
The Patriot -An Old Story By Robert Browning
কবি পরিচিতি:
ভিক্টোরিয়ান কবি 1812 সালে লন্ডনের উপশহর ক্যাম্বারওয়েলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মূলত একজন ব্যবসায়ী। 1845 সালে তার সাথে Elizabeth Barrett Browning এর সাথে দেখা হয় এবং পরবর্তীতে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ইতালির ফ্লোরেন্সে স্থায়ী হন। তিনি 1889 সালে ইতালিতে মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ লন্ডনে Tennyson এর কবরের পাশে দাফন করা হয়। তিনি মূলত Dramatic Monologue এর জন্য বিখ্যাত। তার বিখ্যাত গ্রন্থ Pauline, Men and Women ইত্যাদি। তার বিখ্যাত কবিতা The Pied Piper of Hamelin ও Home Thoughts from Abroad.কবিতা পর্যালোচনা:
কবিতাটি 1885 সালে Men and Women নামক কাব্যগ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত হয়। এখানে একজন প্যাট্রিয়টের জীবন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু তার নাম, পরিচয়, তিনি কি কল্যাণ করেছেন, কিংবা লোকজন তাকে কি ভুল বুঝেছিল সে বিষয়ে কোন ইঙ্গিত নেই। কোন এক অতীত ঘটনা বর্ণনার মাধ্যমে কবি রাজনীতি, মানুষের দ্রুত পরিবর্তনশীলতা ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের জীবনে নেমে আসা দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরেছেন। এছাড়াও পরকালে বিশ্বাস ও বিচার দিনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন।Themes:
রাজনীতি ও নেতৃত্ব (Politice and Leadership):রাজনীতি নেশার মত। কেউ একবার জড়িয়ে পড়লে আর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে না। রাজনৈতিক সুবিধা পাবার জন্য মানুষ মিথ্যাচার, প্রতারণা থেকে শুরু করে এমনকি হত্যা পর্যন্ত করতে পারে। তাই, নেতৃত্বদান একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। জীবনের ঝুকি পর্যন্ত নিতে হয়। আপনি যার জন্য কাজ করবেন, সেই আপনাকে ভুল বুঝে শত্রুতে পরিণত হতে পারে।
সাধারণ মানুষের পরিবর্তনশীলতা(fickleness of common people): সাধারণ মানুষ তাদের মতামতের ক্ষেত্রে স্থির চিন্তার অধিকারী নয়। অধিকাংশ সময় তারা স্রোতের সাথে গা ভাসায়। আজ যে জিনিসটার জন্য সে পাগল হয়, কাল সে জিনিসটা অবলীলায় ছুড়ে ফেলে দেয়। আজ যে জিনিসটি না পেলে তার জীবন চলছে না, কাল মনে হয় এই জিনিসটির জন্যই তার জীবন অচল। খুব ভেবে চিনতে সত্যকে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা খুব কম মানুষই রাখে।
পরকাল ও স্বর্গীয় অনুগ্রহ ( After world and Divine mercy): মানুষ ইচ্ছা করলেই সব সময় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারে না। অনেক সময়ই মনে হয় দোষী সুবিধা পায় আর নির্দোষ শাস্তি পায়। এজন্যই পরকাল। স্রষ্টা ন্যায় বিচারক। তার কাছে ঘুষ চলে না, ক্ষমতার দাপট চলে না। যে যেমন কর্ম করবে, সে ঠিক তেমনি প্রতিদান পাবে। কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না। যারা পৃথিবীতে ভালো কাজ করবে, মানুষের কল্যাণের পথে সচেষ্ট থাকবে, তারা বিচারের দিন স্রষ্টার অনুগ্রহ ও যথাযথ পুরস্কার লাভ করবে। আর যারা পৃথিবীতে বিপথগামী হবে তারা ভয়ানক শাস্তির সম্মুখীন হবে।
English Summary: On the day the patriot was returning, the streets were strewn with roses and myrtle. People stood on the roof of the house watching his welcome ceremony. Colorful flags were hung on the church pole. The air grew heavy with the sound of the bell. The old walls were shaking with the crowd and shouts. All the people were mad with love for this patriot. They were ready to give the patriot whatever he asked for. He tried his best to bring welfare to the people of his country.
But just one year later, people dragged him to the gate of the slaughterhouse to be hanged. His hand was tied behind the rope so tightly that the hand was being cut off. He was getting drenched in the rain and people were throwing stones at him. Blood was pouring from his forehead. People misunderstood his actions this year. They considered his good work as conspiratorial work. So he was being taken to death as punishment. But the Patriot believes that God is a just judge. So even if he does not get the reward of his work in this life, he will surely get it in the hereafter.
বাংলা সামারি: প্যাট্রিয়ট যেদিন ফিরে আসছিলেন, সারা রাস্তায় ছিল গোলাপ আর মার্টেল বিছানো। বাসার ছাদে দাঁড়িয়ে লোকে দেখছিল তার স্বাগত অনুষ্ঠান। চার্চের দণ্ডে লাগানো হয়েছিল বর্ণাঢ্য পতাকা। বাতাস ঘন্টার শব্দে ভারী হয়েছিল। মানুষের ভিড় আর চিৎকারে পুরনো দেয়াল গুলি যেন কাঁপতেছিল। সব মানুষ যেন উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল এই দেশ প্রেমিকের প্রতি ভালবাসায়। দেশপ্রেমিক যা চাইতেন তাই তাকে দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত ছিল। তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করে তার দেশের লোকদের জন্য কল্যাণ এনে দিয়েছিলেন।
কিন্তু মাত্র এক বছর পর লোকজন তাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে কসাইখানার গেটে ফাঁসি দেওয়ার জন্য। তার হাত পেছনে রশি দিয়ে এমন শক্তকরে বাধা ছিল যে হাত কেটে যাচ্ছিল। সে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে যাচ্ছিল আর মানুষ তার দিকে পাথর ছুড়ে মারছিল। তার কপাল থেকে রক্ত ঝরছিল। লোকজন তার এই এক বছরের কর্মগুলিকে ভুল বুঝেছিল। তার ভালো কাজকে তারা ষড়যন্ত্রমূলক কাজ বলে মনে করেছিল। তাই শাস্তি হিসেবে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু প্যাট্রিয়ট বিশ্বাস করেন যে স্রষ্টা ন্যায় বিচারক। সুতরাং তিনি তার কাজের পুরস্কার ইহকালে না পেলেও পরকালে অবশ্যই পাবেন।
Important Word Meaning:-
Myrtle- এক ধরনের সুগন্ধি পাতা যুক্ত চিরসবুজ গুল্ম;Heave- উঠা নামা করা;
Sway- দোলা;
Church Spire- চার্চের উপড়ের ক্রমশ সরু ও লম্বা স্তম্ভ;
Flame- প্রজ্জ্বলিত করা, এখানে টাঙানো।
Break into - স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ;
Mist- কুয়াশা;
Rock- দোলা;
Repel- প্রতিধ্বনি করা,
Younder- ঐ,
that; Afterwards- অতঃপর;
What Else- এছাড়া আর কি;
Alack- হায়রে;
Leaped- লাফ মেরেছিলাম;
Nought- কিছু নেই;
Left- বাদ রেখেছি;
Undone- করা হয় নি এমন;
Harvest- ফসল, এখানে প্রতিদান;
Reap- ফসল কাটা, এখানে প্রতিদান পাওয়া।
Palsied- পক্ষাঘাত গ্রস্ত, বিকলাঙ্গ;
Shamble- কসাইখানা;
Scaffold- ফাঁসির মঞ্চ;
Trow- বিশ্বাস করা।
Rope- রশি;
Wrist- কব্জি;
By the feel- অনুভূতি দ্বারা;
Bleed- রক্তক্ষরণ হওয়া;
Fling- ছুড়ে মারা;
Whoever- যেই হোক;
Stone- পাথর;
Misdeeds- অপকর্ম।
Thus- এভাবে;Enter- আগমন করা;
Triumph- বিজয়;
Drop Down Dead- পড়ে মরে যাওয়া;
Pay- পরিশোধ করা;
Dost- do; Thou- you; Owe- ঋণী থাকা;
Instead- পরিবর্তে;
'Tis- it is; Repay- বিনিময় দেয়া।
Poems:- The Patriot
কবিতা: দেশ প্রেমিক
গৃহের ছাদ মনে হচ্ছিল উঠা নামা করছিল আর দুলছিল,
চার্চের স্পায়ারগুলো ঐরূপ পতাকা টাঙ্গিয়েছিল যা তাদের ছিল,
এক বছর পূর্বে আজকের এই দিনে।
বাতাস ঘণ্টাধ্বনিতে কুয়াশায় হয়েছিল পরিণত,
পুরাতন দেয়াল ভীর আর চিৎকারে কাপছিল।
যদি আমি বলতাম, " প্রিয় দেশবাসী, শুধু গন্ডগোল প্রতিধ্বনিত হয়----
বরং এনে দাও ঐ আকাশের সূর্য!"
তারা বলতো, " আর এরপর, আর কি?"
হায়রে, আমি সূর্যের পানে ছুটেছিলাম
আমার প্রিয় বন্ধুদের এটা রেখে দেবার জন্য!
মানুষ করতে পারে এমন কিছু না, আমি রেখেছি অকৃত:
আর তোমরা দেখ আমার ফসল, কি পাচ্ছি আমি
আজকের এই দিনে, আজ এক বছর হলো।
নাহি কেহ গৃহ--ছাদে আজ---
শুধু পক্ষাঘাতগ্রস্ত কয়েক রয়েছে জানালায়;
কারণ সর্বোত্তম দৃশ্য হলো, সবাই অনুমিত,
কসাইখানার ফটকে --- বা, আরো ভালো,
সে ফাঁসির মঞ্চের পাদদেশে, আমার বিশ্বাস।
আমি যাচ্ছি বৃষ্টিতে ভিজে, আর, প্রয়োজনের অতিরিক্ত,
এক রশি কাটছে আমার দুহাত পেছনে;
আর আমার মনে হচ্ছে, অনুভূতি দ্বারা, আমার কপালে রক্তক্ষরণ হচ্ছে,
কারণ তারা ছুঁড়েছে, যার মনে চেয়েছে,
পাথর আমার দিকে আমার বর্ষ ব্যাপী অপকর্মের জন্য।
এভাবে আমার আগমন, আর এভাবে আমার প্রস্থান!
বিজয়েও, অনেকে পড়ে মরে গেছে।
"পৃথিবী থেকে প্রাপ্তির পর, তুমি আর কি চাও
আমার থেকে" --- স্রষ্টা জিজ্ঞাসিতে পারে; এবার পরিবর্তে,
স্রষ্টাই দিবে বিনিময়: সুতরাং আমি নিরাপদ।
সময় নিয়ে পড়লে কবিতাটা ভালভাবে বুঝতে পারার জন্য বিস্তারিত সামারি:
প্যাট্রিয়টের আগমনের সমগ্র পথ জুড়ে গোলাপ আর মার্টেল বিছানো ছিল। লোকজন উন্মাদের মত আচরণ করছিল। ছাদে এত মানুষ দাড়িয়েছিল যে তাদের নড়াচড়া দেখে মনে হচ্ছিল যেন ছাদ নড়াচড়া করছে। চার্চের দণ্ডেও ঐরূপ বর্ণিল পতাকা লাগানো হয়েছিল। ঠিক এক বছর আগে আজকের এই দিনে। অর্থাৎ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করা হয়েছিল আর সারা দেশবাসী তাতে যোগ দিয়েছিল।উৎসবের আমেজে ঘণ্টাধ্বনি বাজতেছিল। শব্দে যেন বাতাস ভেঙে কুয়াশায় পরিণত হয়। এত ঘণ্টা বাজতেছিল যেন বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। আশে পাশের পুরোনো দেয়ালগুলো মানুষের ভীড়, আর চিৎকারে যেন কাপছিল। লোকজন এতটায় পাগল হয়েছিল যে তাদের যদি প্যাট্রিয়ট বলতেন আকাশের সূর্যটা তাকে এনে দিতে। তারা সেটা তো দিতই বরং জিজ্ঞাসা করত এরপর কি এনে দিবে।
কিন্তু আসলে প্যাট্রিয়ট নিজেই সূর্যের পানে ছুটে গিয়েছিলেন দেশবাসী কে সেটা এনে দিতে, কল্যাণের সূর্য। মানুষ পারে এমন কোনকিছুই তিনি বাদ রাখেন নি। কিন্তু সবাই দেখুন এর ফল হিসেবে তিনি কি পেলেন। আজ, এইদিনে, ঠিক এক বছর পর।
আজ বাড়ীর ছাদে কেউ নেই। কিছু অসুস্থ, পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোক জানালায় দাড়িয়ে আছে। এদিকে কেউ নেই কারণ আরো ভালো দৃশ্য দেখার জন্য তারা চলে গেছে কসাইখানার ফটকে। সেখানেই সকলের উপস্থিতিতে প্যাট্রিয়টের ফাঁসি কার্যকর করা হবে। তার বিশ্বাস, আরো ভালো দৃশ্য তারা দেখতে পাবে খোদ ফাঁসির মঞ্চের পাদদেশে। কারণ, সবাই সে দৃশ্য দেখার জন্য অনুমতি প্রাপ্ত।
প্যাট্রিয়টকে বৃষ্টির মধ্যে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও প্রয়োজন ছিল না, তবুও তারা তার হাত পেছনে খুব টাইট করে বেধে রেখেছে। তার হাত কেটে যাচ্ছে। তার এমন মনে হচ্ছে যেন তার কপাল থেকে রক্ত বের হচ্ছে। কারণ, যার মনে চেয়েছে সেই তার দিকে পাথর ছুড়ে মেরেছে এই এক বছরের অপকর্মের শোধ নেবার জন্য।
একদিন অনেক উৎসব পালনের মধ্যদিয়ে প্যাট্রিয়টের আগমন হয়েছিল। কিন্তু আজ নির্মমভাবে প্রস্থান করছেন তিনি। তবে দুটি ঘটনা একই রকম। সেদিনও শত শত মানুষ তাকে উৎসুকভাবে দেখছিল, আজও দেখছে। পার্থক্য শুধু এই যে সেদিন তার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিল, কিন্তু আজ আছে শুধুই ঘৃনা।
এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে যে মানুষ বিজয়ী হয়ে, সেই বিজয় উৎসবের মধ্যেই পড়ে পদদলিত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। প্যাট্রিয়টের ক্ষেত্রটা অনেকটা তেমনি। এটাই নির্মম বাস্তব।মৃত্যুর পর স্রষ্টা প্যাট্রিয়টকে জিজ্ঞাসা করতে পারে যে তোমার কর্মের জন্য পৃথিবীর মানুষ তোমাকে যা দিয়েছে, এরপর তুমি আমার থেকে আর কি চাও। পৃথিবীর মানুষের পরিবর্তে স্রষ্টাই তাকে তার কাজের পুরস্কার দেবেন। সুতরাং তার আর কোন আফসোস নেই।